কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
গোটা গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া। বাড়ি বাড়ি থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। বিষমদ খেয়ে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৬ জন। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন প্রায় ৪০ জন। বর্ধমানের গলসির ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ইংরেজি নববর্ষের দিন পিকনিক শেষে চোলাইয়ের ঠেকে হাজির হয়েছিলেন কয়েক জন। কেউ আবার রোজকার মতোই ভিড় জমিয়েছিলেন গলসির রামগোপালপুর গ্রামের আন্না বাউড়ির চোলাইয়ের ঠেকে। তার পরে যথেচ্ছ বা পরিমিত মদ্যপান। কিন্তু, বাড়ি ফিরেই অসুস্থ বোধ করেন তাঁদের অনেকেই। গলা-বুক জ্বলতে থাকে। ছটফট করতে থাকেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে, তাঁদের পুরসা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ২ জনের মৃ্ত্যু হয়। কয়েক জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানে আরও ৪ জন মারা যান। অসুস্থদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ফেরার পথ নেই, বাড়ি বেচে দিলেন নিহত ছাত্রীর বাবা
মৃতদের নাম কেষ্ট বাউড়ি (৪০), কেলে বাউড়ি (৩২), সোনা বাউড়ি (৩৬), সঞ্জয় রুইদাস (৩০), সন্ন্যাসী রুইদাস (৪২) এবং রবীন্দ্রনাথ দাস বৈরাগ্য (৪৬)। তাঁদের সকলের বাড়ি গলসির করকনা এবং রাগোপালপুর গ্রামে। চোলাই ঠেকটির মালিক আন্না বাউড়িকে এ দিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন এবং জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।