Bardhaman Medical College and Hospital

রাতে বর্ধমান মেডিক্যালের মহিলা ওয়ার্ডে প্রবেশের চেষ্টা, নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগে ধৃত যুবক

মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর অভিযোগ, তিনি বারণ করা সত্ত্বেও জোর করে ওয়ার্ডের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। বাধা দিতে গেলে ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করতে চান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:০১
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক মহিলা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। মহিলা নিরাপত্তাকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিকাশ মণ্ডল ওরফে বাপ্পা। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রামে তাঁর বাড়ি। শনিবার রাতে বিকাশ তাঁর মাকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করিয়েছিলেন। মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শনিবার ওই ওয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অভিযোগকারিণী। তাঁর অভিযোগ, রোগীদের সঙ্গে দেখা করার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে বিকাশ মহিলা ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে চান। তাঁর দাবি ছিল, মায়ের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দিতে হবে। কিন্তু বিকাশকে অসময়ে মহিলা ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে বাধা দেন ওই মহিলা নিরাপত্তারক্ষী। যা নিয়ে বচসা শুরু হয়।

মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর অভিযোগ, তিনি বারণ করা সত্ত্বেও জোর করে ওয়ার্ডের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন বিকাশ। বাধা দিতে গেলে ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করতে চান তিনি। এমনকি, ওই মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ বিকাশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওয়ার্ডের অন্য নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করেন তিনি। ঘটনার জেরে ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ বিকাশকে ওয়ার্ড থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মহিলা নিরাপত্তাকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

ধৃতকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। এ ব্যাপারে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে একটা ঝামেলার ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ তদন্ত করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement