ভোল বদলাবে সিটি সেন্টার স্ট্যান্ড

অবৈধ দখলদারদের জন্য ছাউনি বেদখল, অপরিষ্কার শৌচাগার-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যার অভিযোগ উঠেছে বারবার। এ বার দুর্গাপুরের সেই সিটি বাসস্ট্যান্ডটি প্রায় ৬৫ লাখ টাকা খরচ করে নতুন ভাবে সাজানো হবে, জানালেন মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:১৪
Share:

এই বাসস্ট্যান্ডই আধুনিক হবে বলে আশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।

অবৈধ দখলদারদের জন্য ছাউনি বেদখল, অপরিষ্কার শৌচাগার-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যার অভিযোগ উঠেছে বারবার। এ বার দুর্গাপুরের সেই সিটি বাসস্ট্যান্ডটি প্রায় ৬৫ লাখ টাকা খরচ করে নতুন ভাবে সাজানো হবে, জানালেন মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা।

Advertisement

১৯৬৩ সালে মূলত সরকারি পরিবহণের কথা মাথায় রেখেই এডিডিএ-র জায়গায় স্ট্যান্ডটি তৈরি হয়। সেই সময়ে দুর্গাপুর রাজ্য পরিবহণ সংস্থার বাস চলত। পরে তা বদলে হয় দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ সংস্থা। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা বাসের সংখ্যাও। বর্তমানে এই স্ট্যান্ড থেকে কলকাতা, শিলিগুড়ি, বহরমপুর, মালদহ, বাঁকুড়া, আসানসোল, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, পুরুলিয়া, টাটা, ধানবাদ, রাঁচি, পুরী-সহ রাজ্য, জেলা ও দেশের বিভিন্ন জায়গার বাস ছাড়ে। এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন রুটের প্রায় দুশো মিনিবাস, শ’খানেক বড় বাস ও অটো ছাড়ে এখান থেকে। এর ফলে দিনভর বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে এই স্ট্যান্ডে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, অবৈধ দখলদারদের জন্য দাঁড়ানোর জায়গা মেলে না। নেই স্থায়ী বিশ্রামাগার। তা ছাড়া শৌচাগারগুলিও নিয়মিত সাফাই হয় না।

সম্প্রতি যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে স্ট্যান্ড আধুনিকীকরণের জন্য দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ সংস্থা, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) ও পুরসভার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে প্রশাসনের সূত্রে খবর। বৈঠকে ঠিক হয়, প্রাথমিক ভাবে স্ট্যান্ডের এক দিকে তিন তলার একটি ভবন তৈরি করা হবে। এক সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাস দাঁড়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও আধুনিক টিকিট কাউন্টার, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, এটিএম কাউন্টার প্রভৃতি তৈরি হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। স্ট্যান্ড আধুনিকীকরণের ফলে কয়েক হাজার যাত্রী উপকৃত হবেন বলে আশা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Advertisement

তবে ৬৫ লাখ টাকা কোথা থেকে মিলবে? মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা এনএসপিসিএল ৫০ লাখ ও এডিডিএ ১৫ লাখ টাকা দেবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, স্ট্যান্ডের দোকানদারদের জন্য নির্দিষ্ট বাজার কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে। শঙ্খবাবু বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই পরিদর্শনের কাজ হয়েছে। নকশা তৈরির কাজও প্রায় শেষ। দ্রুত দরপত্র ডাকা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement