Kalki Koechlin Diet

পাতে বার্গার, দুপুরে বাঙালি রাঁধুনির তৈরি মাছের ঝোল, কল্কির ছিপছিপে চেহারার নেপথ্য রহস্য কী?

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে জীবন ও যাপন সম্পর্কে কথা বললেন কল্কি কেঁকলা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কী কী খাবার খান, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন বলি-তারকা। আপনিও কি তাঁর পথ অনুসরণ করতে পারবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৫
Share:

সারা দিন কী কী খান কল্কি? ছবি: সংগৃহীত।

বাঙালি খাবারের প্রতি বিশেষ আসক্তি বলিউডের তারকা কল্কি কেঁকলার। তাই তো কল্কি এবং তাঁর ইজ়রায়েলি প্রেমিক গাই হার্শবার্গের বাড়িতে রান্না করেন এক বাঙালি রাঁধুনি। তাঁর হাতে রান্না করা সুস্বাদু মাছের ঝোল খান তাঁরা। কল্কি এবং গাই ছাড়াও তাঁদের সাড়ে ৫ বছরের কন্যা স্যাফো এই খাবারই খায়। সকালের খাবার অবশ্য যুগলে মিলে তৈরি করেন প্রতি দিন। নৈশভোজে হালকা এবং স্যালাড জাতীয় খাবার খান ত্রয়ী।

Advertisement

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে জীবন ও যাপন সম্পর্কে কথা বললেন কল্কি। এতটুকু শুনে মনে হবে, সারা দিন বড়ই কৃচ্ছ্রসাধন করেন তিনি। কিন্তু কল্কি বড়সড় বার্গারপ্রেমী। শুধু তা-ই নয়, কল্কির কন্যা আবার পাস্তা খেতে ভালবাসে। সপ্তাহে এক বার অন্তত বোলোনিজ় পাস্তা না খেলে চলে না। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ়ও খান তাঁরা। স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা বার্গার শুনে চমকে যেতে পারেন। মাঝে মধ্যেই যিনি বার্গার খান, তিনি এমন তন্বী চেহারার অধিকারী কী ভাবে? কল্কির কথায়, ‘‘আমরা নানা রকম খাবার খাই। কিন্তু ফাস্ট ফুড খাই না।’’

বার্গারের মতো খাবারও যে ‘ফাস্ট ফুড’-এর তকমা বাইরে থাকতে পারে, তা মনে করিয়ে দিলেন কল্কি। প্যারিসের এক পুষ্টিবিদ, এলেন বুসিয়া ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো করে দেখিয়েছিলেন, কী ভাবে একটি বার্গার স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে। দোকানের অতি প্রক্রিয়াজাত বার্গারের বদলে বাড়িতে টাটকা উপকরণ দিয়ে বানালেই সেটি স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে। কারণ, বার্গারের মানে কেবল পাউরুটি, মাংস আর সব্জি। এই তিন উপকরণ তো আলাদা করে অস্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু দোকান থেকে কিনে খেলে অনেক সময়ে এগুলির সঙ্গে সোডা জাতীয় পানীয়, মিষ্টি, ভাজাভুজি দেওয়া হয়। সে সব বাদ দিয়ে নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। ঠিক যেমন হেলেন তাঁর ভিডিয়োর ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই বুঝি, ভাপানো সব্জি আর প্রোটিন। অন্য কোনও খাবারের জন্য মন আনচান করলেই মনে করি, আমরা ডায়েট করতে গিয়ে ব্যর্থ হলাম। কিন্তু পুষ্টির সঙ্গে নিয়মের সম্পর্ক নেই। শরীরে পুষ্টিগুণ পৌঁছে দেওয়া মানে নিজের শরীরকে বুঝে খাওয়াদাওয়া করা। তাই জানতে হবে, কোন খাবার কী খেলে শরীরে পুষ্টির জোগান থাকবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement