উষাগ্রামে উদ্বোধনের অপেক্ষায় নতুন বাসস্টপ। নিজস্ব চিত্র
ঠা-ঠা রোদে দাঁড়িয়ে আর অপেক্ষা নয়। আসানসোলের উষাগ্রামের বাসিন্দারা এ বার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন বাতানুকূল বাসস্টপে। প্রায় দশ লক্ষ টাকায় তৈরি বাসস্টপটির উদ্বোধন হবে আজ, রবিবার। আসানসোল পুরসভার তরফে জানানো হয়, কলকাতার বাইরে কোনও জেলা শহরে এটিই প্রথম বাতানুকূল বাসস্টপ। প্রায় দশ লক্ষ টাকায় তৈরি বাসস্টপটি মহিলা ও শিশুদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
আসানসোলের জনবহুল এলাকাগুলির কয়েকটিতে বাতানুকূল বাসস্টপ তৈরির আবেদন অনেক দিনের। কিন্তু যৌথ ভাবে এই কাজ করার জন্য কোনও আগ্রহী সংস্থা পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানায় পুরসভা। শেষে ‘ইন্ডিয়া পাওয়ার’ সংস্থা তাদের সামাজিক দায়িত্বপালন প্রকল্পে কাজ করতে আগ্রহী হয় বলে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান। সংস্থার কর্তা সোমেশ দাশগুপ্ত জানান, বাসস্টপের জন্য প্রাথমিক ভাবে শহরে চারটি জায়গা বাছা হয়েছিল। মেয়র উষাগ্রাম এলাকাটি বাছেন। তাই সেখানেই তৈরি করা হয়েছে। সোমেশবাবু বলেন, ‘‘শহরবাসীর জন্য আমরা এই দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে খুশি।’’
পুরসভার মুখ্য বাস্তুকার সুকোমল মণ্ডল জানান, আধুনিক বাসস্টপ তৈরি, দু’টি বাতানুকূল যন্ত্র বসানো ও যাত্রীদের বসার জন্য ন’টি চেয়ার— সবই তৈরি করেছে ওই সংস্থা। পুরসভা রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুতের বিল ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের খরচ বহন করবে। সুকোমলবাবু বলেন, ‘‘শহরে এই ধরনের আরও কিছু বাসস্টপ নির্মাণের জন্য আমরা কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি।’’
এমন উদ্যোগে খুশি যাত্রীরা। তবে সেই সঙ্গে শহরের বেহাল বাসস্ট্যান্ডগুলি সংস্কারের দাবিও তুলেছেন তাঁরা। গত পুরবোর্ডের আমলে শহরে বেশ কিছু আধুনিক যাত্রী-ছাউনি তৈরি হয়েছিল। মাস কয়েক পরেই দেখভালের অভাবে সেগুলি বেহাল হয়ে যায়। চেয়ার থেকে আলো, সবই খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আবর্জনায় ভরা বাসস্টপগুলি ব্যবহারই করতে পারেন না যাত্রীরা। সুকোমলবাবুর আশ্বাস, সেগুলিও নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত কাজে হাত পড়বে।