বিয়ের পরে কেতুগ্রামের যুবক নিখোঁজ কাঁকসায়

ভগীরথ দুর্গাপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। সে জন্য গত বছর পাঁচেক ধরে থাকছিলেন কাঁকসার আড়রা শ্রীপল্লির একটি ভাড়া বাড়িতে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভগীরথের ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনের। এর পরেই ওই ভাড়া বাড়িতে খোঁজ নেন তাঁর বাবা শান্তি গুঁই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা ও কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩৭
Share:

বিয়ের মাসখানেক পরে এক দিন আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান যুবক। মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ড, মোটরবাইক— কিছুই নিয়ে যাননি কেতুগ্রামের গোন্নাসেরান্দির ওই যুবক। তার পরে দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাঁর খোঁজ না মেলায় চিন্তায় পড়েছে পরিবার।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা যায়, অগস্টে বছর চৌত্রিশের যুবক ভগীরথ গুঁইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মুর্শিদাবাদের সালারের দত্তবরুটিয়ার বছর ছাব্বিশের সুপ্রিয়া রানোর। ভগীরথ দুর্গাপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। সে জন্য গত বছর পাঁচেক ধরে থাকছিলেন কাঁকসার আড়রা শ্রীপল্লির একটি ভাড়া বাড়িতে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভগীরথের ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনের। এর পরেই ওই ভাড়া বাড়িতে খোঁজ নেন তাঁর বাবা শান্তি গুঁই। খোঁজ নেওয়া হয় ভগীরথের কর্মস্থলেও। কিন্তু হদিস মেলেনি।

শান্তিবাবু জানান, ভাড়া বাড়িতে খোঁজ করে একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে। সেখানে নিজের নিখোঁজ হওয়ার জন্য কাউকে দায়ী না করে ভগীরথ লিখেছেন, কাজ খুঁজতে কলকাতা যাচ্ছেন তিনি। পর দিনই কাঁকসা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। শান্তিবাবু বলেন, ‘‘ছেলের সঙ্গে আমাদের কোনও অশান্তি হয়নি। চাকরি তো করছিলই। তবু কেন কলকাতায় চাকরি খুঁজতে যাওয়ার কথা লিখল, বুঝতে
পারছি না!’’

Advertisement

ভগীরথের শ্বশুর গয়াচরণ রানো বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকে মেয়েকে কাঁকসা নিয়ে যায়নি জামাই। আচমকা কী ভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল, সেই দু্শ্চিন্তা হচ্ছে।’’ সুপ্রিয়া ফোনে বলেন, ‘‘বিয়ের পরে এক মাসের মধ্যে সব মিলিয়ে ৯ দিন স্বামীর সঙ্গে ছিলাম। খুব কম কথা বলতেন।’’

কাঁকসার যে বাড়িতে ভগীরথ ভাড়া থাকতেন সেটির মালিক সুরজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি খুব শান্ত স্বভাবের ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন অন্য দিনের মতোই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। আমরাও বেশ অবাক হয়ে গিয়েছি।’’ কাঁকসা থানার পুলিশ জানায়, ওই যুবকের খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন