পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে গোপালবেড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইন্দু গ্রামে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
বর্ষায় বেহাল দশা গ্রামের রাস্তার। টানা বৃষ্টিতে প্রায় হাঁটুর কাছাকাছি জল জমে গিয়েছে রাস্তায়। সেই জলকাদা ঠেলেই দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন শ্মশানযাত্রীরা। সম্প্রতি সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। যদিও ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। তবে ঘটনাটি নজরে আসার পরে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনাটি খণ্ডঘোষের গোপালবেড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইন্দু গ্রামের। ওই গ্রামের শ্মশান পর্যন্ত রাস্তার প্রায় ৮০০ মিটার একটি অংশের দশা দৃশ্যত বেহাল। বর্ষাকালে জমা জলের মধ্যে দিয়েই দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যেতে হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনিক স্তরে সমস্যার কথা জানিয়েও সুরাহা হয়নি। গত কয়েক দিনের বর্ষায় রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের। গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বেহাল রাস্তা নিয়ে শাসকশিবিরকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।
সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষ রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “রাজ্যজুড়ে আসলে ‘কসমেটিক’ উন্নয়ন চলছে। আজকের দিনে যেন মানুষের মরেও শান্তি নেই। হাসপাতালে যেতে গেলে যেমন কাদামাটি পেরিয়ে যেতে হয়, ঠিক তেমনই মারা গেলেও কাদামাটি পেরিয়ে যেতে হচ্ছে।” বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রও শাসকদলকে বিঁধে বলেন, “৯৯ শতাংশ উন্নয়ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল। কিন্তু আসলে চারিদিকে রাস্তার যা অবস্থা, মানুষের যে বেহাল পরিস্থিতি, তা নিয়ে তারা ভাবিত নয়।” সিপিএম এবং বিজেপি উভয় শিবিরও ‘কাটমানি’র অভিযোগে বিঁধেছে তৃণমূলকে।
রাস্তার একটি অংশ যে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন জেলার তৃণমূল নেতা তথা শাসকদলের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তাঁর দাবি, উন্নয়ন যে হয়েছে, তা বিরোধীরাও জানেন। প্রসেনজিৎ জানান, রাস্তার ওই অংশটি জেলা পরিষদ মেরামত করে দেবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারও আশ্বাস দিয়েছেন, রাস্তার ওই অংশটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।