বাড়ল মেয়র পারিষদ, ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা

ভোটে জেতার পরে সম্ভাব্য মেয়র হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছিল, তার মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা দু’বারের কাউন্সিলর অনিন্দিতাদেবীও।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৩৯
Share:

শপথগ্রহণ: নতুন পুরবোর্ড গঠনের অনুষ্ঠানে ফাঁকা রইল গ্যালারির একাংশ।নিজস্ব চিত্র

মেয়র ও চেয়ারম্যান কে হতে চলেছেন, মঙ্গলবার রাতেই তার খানিকটা আভাস মিলেছিল। কিন্তু ডেপুটি মেয়র কে হবেন, মেয়র পারিষদই বা কারা— সে নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। দুর্গাপুরে অবশেষে সে সবের অবসান হল বুধবার বিকেলে।

Advertisement

ভোটে জেতার পরে সম্ভাব্য মেয়র হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছিল, তার মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা দু’বারের কাউন্সিলর অনিন্দিতাদেবীও। তবে এ দিন দুপুরে হাসি মুখে কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নেন তিনি। বিকেলে ডেপুটি মেয়র হিসেবে ঘোষণা হয় তাঁর নাম। নতুন চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল প্রবীণ নেতা। গত পুরবোর্ডে তিনি বরো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন।

মেয়র পারিষদের সংখ্যা ছিল সাত থেকে এ বার বেড়ে হয়েছে ৯। গত পুরবোর্ডে জল দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ প্রমোদ সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার পরে তৎকালীন ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ বছরখানেক সেই দায়িত্ব পালন করেন। এ বার মেয়র পারিষদের তালিকায় রয়েছেন তিনি। তালিকায় আছেন গত বারের পূর্ত দফতরের মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা ও তফসিল জাতি-উপজাতি উন্নয়ন দফতরের মেয়র পারিষদ মানি সোরেনও।

Advertisement

মেয়র পারিষদ হিসেবে নতুন মুখ বামফ্রন্ট ছেড়ে আসা তিন প্রাক্তন কাউন্সিলরের এক জন, নিজাম হোসেন মণ্ডল। তাঁর মতোই টানা দ্বিতীয় বার কাউন্সিলর হওয়া রাখি তেওয়ারি ও ধর্মেন্দ্র যাদবও তালিকায় রয়েছেন। টানা না হলেও দ্বিতীয় বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া রুমা পাড়িয়ালও মেয়র পারিষদ হচ্ছেন। এ ছাড়া এ বার প্রথম কাউন্সিলর হওয়া পবিত্র চট্টোপাধ্যায় ও অঙ্কিতা চৌধুরীও রয়েছেন তালিকায়। দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে দফতর বণ্টন করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিন সিধো-কানহু স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অবশ্য ভিড় ছিল গত বারের তুলনায় কম। ২০১২ সালে স্টেডিয়াম ছিল কানায়-কানায় ভরা। শপথ শেষে বিশাল মিছিল গিয়েছিল পুরসভায়। এ বার স্টেডিয়ামে সাড়ে আটশো অতিথির বসার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু অনেক আসনই ফাঁকা ছিল। গ্যালারির অর্ধেকও ছিল ফাঁকা। তবে গত বারের চেয়ে বড় মঞ্চ, সবুজ কার্পেটে মোড়া মেঝে, স্টেডিয়ামের বাইরে নীল-সাদা রঙ— জাঁকজমকের অভাব ছিল না। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক ও স্বপন দেবনাথ। অরূপবাবু যদিও কম ভিড়ের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ভাল অনুষ্ঠান হয়েছে। এর আগে কোনও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এত মানুষ আসেননি। প্রায় ১০ হাজার মানুষ এসেছিলেন।’’

জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি এ দিন কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান। তার পরে বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে নতুন কাউন্সিলরদের নিয়ে বোর্ডের প্রথম সভা হয়। পুরভোটের দিন গুলিবিদ্ধ হওয়া এক তৃণমূল কর্মী শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ দিন তাঁকে দেখতে যান অরূপবাবু ও নতুন মেয়র দিলীপবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন