Siddiqullah Chowdhury

‘ওরা লন্ডন পালায়নি, খুঁজে বের করুন’, পুলিশকে হুঁশিয়ারি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার, দলের নেতার নামে তোপ

এর আগেও পুলিশকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, কয়েক জন নেতার অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ ২২:১২
Share:

আবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার। এ বার আরও চড়া সুর তাঁর। —প্রতীকী চিত্র।

তাঁর সভা থেকে ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছেন দলেরই এক নেতার অনুগামীরা। এই অভিযোগ করে আবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

Advertisement

মসৃণ ভাবে দল চলছে। পছন্দ হচ্ছে না, তাই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল। ফের বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‘যারা অপরাধী, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযুক্তরা আশপাশেই আছেন। কেউ তো আর লন্ডন যাননি। তাই তাদের ধরে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে।’’

গত ১২ মার্চ, রবিবার মেমারি ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের একটি সভা থেকে ফেরার পথে বারোয়ারি গ্রামে প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের অনুগামীদের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ করেন তৃণমূলেরই কয়েক জন। অভিযোগ, তাঁদের উপর রড, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে যান মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা। প্রথমেই হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পর তিনি বলেন, ‘‘২ জন অসুস্থ থাকা স্বত্ত্বেও তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, এর মধ্যেও রাজনীতি আছে।’’ এর পর মেমারি থানার পুলিশের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।

Advertisement

সিদ্দিকুল্লার কথায়, ‘‘৩২ হাজার ভোটে জিতেছি মন্তেশ্বরে। তাই কে ঘেউ ঘেউ করছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তৃণমূল সর্বজনীন দল। যে কেউ দলে গিয়ে ঝান্ডা ধরতে পারে।’’ এর পর মহম্মদ ইসমাইলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘নেতা হওয়া এত সহজ নয়। নেতা হতে গেলে তাঁকে সম্ভ্রম দেখাতে হয়।’’

গত কয়েক দিন ধরেই মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিলবাড়ি, ঝিকরা-সহ বেশ কিছু এলাকায় অশান্তির খবর মিলেছে। তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে মন্ত্রীর বাক্‌যুদ্ধের পর থেকে উত্তেজনা তীব্র হয়। বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকের জখম হয়।পাঁচ জন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে ধৃতরা সবাই মহম্মদ ইসমাইলের অনুগামী।

সিদ্দিকুল্লা জানান, তিনি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ইসমাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার দাবী জানিয়েছেন। এ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন। সাতগেছিয়ায় কলেজ তৈরির সময় ওই জমির কিছু অংশ নিজের নামে করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসমাইলের বিরুদ্ধে। সিদ্দিকুল্লার কথায়, ‘‘এটা ভয়ংকর জালিয়াতি। এই ঘটনার জন্য সিআইডি তদন্ত চাইছি।’’

যদিও রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু ইসমাইলের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কে মন্ত্রী, দল ও সব দেখে না। গোটা বিষয়টিতে দল নজরে রেখেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন