Sukanta Majumdar

নেতাদের নাম ধরে হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত অভিযোগ করেন, শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বর্ধমানে চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। হিমঘরের দরজায় তৃণমূলের লোকজনকে টাকা দিলে বন্ড পাওয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৩
Share:

সভায় জেপি নড্ডা-সহ বিজেপি নেতারা। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল

সর্বভারতীয় সভাপতি আক্রমণ করলেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। আর রাজ্য সভাপতি জেলার তৃণমূল নেতাদের নাম ধরে তোপ দাগলেন। রবিবার পূর্বস্থলী থানার মাঠে বিজেপির সভায় এ ভাবেই এ রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন বিজেপির জেপি নড্ডা ও সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের যদিও দাবি, এ সব কথায় মানুষ বিশ্বাসকরেন না।

Advertisement

এ দিন মঞ্চে ওঠার আগে সভাস্থলের কাছে একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডা বলেন, ‘‘বাংলা শক্তিপীঠ। এমন একটি জায়গায় তৃণমূল অত্যাচার চালাচ্ছে, রক্ত ঝরাচ্ছে। বিজেপি পারবে তৃণমূলকে উৎখাত করতে।’’ সভায় তিনি রেশন, আবাস যোজনা থেকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার জন্য নানা প্রকল্প পাঠালেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা মানুষের ঠিক ভাবে পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত অভিযোগ করেন, শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বর্ধমানে চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। হিমঘরের দরজায় তৃণমূলের লোকজনকে টাকা দিলে বন্ড পাওয়া যায়। সভায় আসা জনতার উদ্দেশ্যে সুকান্তের দাবি, ‘‘আপনাদের জেলাও কম যায় না।’’ এর পরেই তিনি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা, বালি কারবারের অভিযোগ তোলেন। ইডি-সিবিআই তাঁর দরজায় কড়া নাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি সুকান্তের। তাঁর আরও দাবি, ‘‘রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় না কি ভাল নেই। ভয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেন। এখনও ভয় পাচ্ছেন। প্রচুর সম্পত্তিও না কি করেছেন। ঠিক করে হিসাব রাখছেন তো?’’ দাঁইহাটের প্রাক্তন পুরপ্রধান শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা ফোনে অশালীন প্রস্তাবের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘‘তাঁকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কেউ এমন কাজ করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হত।’’

Advertisement

পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওই মাঠে আমরা সভা করব। যা জবাব দেওয়ার সেখানেই দেব।’’ ইডি-সিবিআই নিয়ে হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বিধায়ক খোকন দাসের বক্তব্য, ‘‘আগে ডাকুক। ডাকলে আমি বুঝে নেব। বিজেপি নেতাদের এ নিয়ে এত মাথাব্যথার দরকার নেই।’’ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডুর দাবি, ‘‘ওদের লোকবল নেই। ওদের বক্তব্য কে শুনবে? মানুষ বিশ্বাসও করে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন