ভাতারে বোমা, ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব

পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল ভাতারের আমারুণ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। তারই জেরে বুধবার রাতে এক পক্ষ ভাতার-কুরমুন রাস্তার উপর কুবরাজপুর হাটতলায় বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫২
Share:

পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল ভাতারের আমারুণ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। তারই জেরে বুধবার রাতে এক পক্ষ ভাতার-কুরমুন রাস্তার উপর কুবরাজপুর হাটতলায় বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক জনকে ওই দুষ্কৃতীরা মারধরও করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোল্লা নিজামউদ্দিন। তার পাল্টা হিসেবে তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠী প্রায় দেড় ঘণ্টা কুবারজপুরের তিন মাথা মোড় অবরোধ করে রাখে। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

Advertisement

স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ রাজু, শেখ উজ্জ্বলদের কথায়, “তখন রাত সওয়া আটটা। হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে যায়। সে জন্য বাজারের ৮০ জন ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করছিলাম। তখনই বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়।” ব্যবসায়ীরা এ দিন নিরাপত্তার দাবিতে ভাতার থানায় স্মারকলিপিও দেন। ভাতারের ওই এলাকায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরার সঙ্গে ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানগোবিন্দ অধিকারীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। বনমালী-গোষ্ঠী এই বোমাবাজির পিছনে মানগোবিন্দবাবুর শিবিরকেই দায়ী করেছে। তাঁদের অভিযোগ, মানগোবিন্দবাবুর মদতে পুষ্ট জনা বারো-চোদ্দো দুষ্কৃতী এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে রাতের অন্ধকারে বোমা-পিস্তল নিয়ে হামলা চালায়। রাস্তার উপরেই ১০-১২টি বোমা ফাটায়।

বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ বেশ কয়েকটি বোমা, একটি পাত্র সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে। ভাতার থানায় মোল্লা নিজামউদ্দিন ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বনমালী-অনুগামী শেখ সেলিম, শেখ ইমদাদুল হক, শেখ হিরাদের দাবি, “মানগোবিন্দবাবুর অনুগামীরা পঞ্চায়েত চালায়। গত কয়েক বছরে তাঁরা ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার দুর্নীতি করেছে। তার জন্য আমরা প্রশাসন সহ সর্বস্তরে অভিযোগ করেছি। সেই রাগেই আমাদের উপর বদলা নেওয়ার জন্য হামলা চালানো হয়।” মানগোবিন্দবাবুর অবশ্য দাবি, “আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যেরাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পঞ্চায়েতে যেতে পারছে না। সেখানে আমাদের লোকেরা বোমা মেরেছে—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।”

Advertisement

ভাতার থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর থেকেই দুষ্কৃতী খোঁজ চলছে। ব্যবসায়ীদেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল বলেন, “দলের লাগাতার কর্মসূচিতে যোগ না নিয়ে যারা বোমাবাজি করে এলাকাকে ত্রস্ত করে তুলছে, তারা আর যাই হোক, দলের লোক হতে পারে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন