নগদে টান, বোঝাপড়াই ভরসা টিভি চালু রাখতে

মিলছে না পাঁচশো। আকাল একশোরও। সবাইকে দু’হাজার ভাঙিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিন সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা নগদের সমস্যায় জেরবার কেব্‌ল টিভি অপারেটররাও। তাই গ্রাহকদের সঙ্গে বোঝাপড়াই এখন ভরসা তাঁদের। কেব্‌ল সংযোগের সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে সেই বোঝাপড়া ভরসা গৃহস্থেরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৩৪
Share:

মিলছে না পাঁচশো। আকাল একশোরও। সবাইকে দু’হাজার ভাঙিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিন সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা নগদের সমস্যায় জেরবার কেব্‌ল টিভি অপারেটররাও। তাই গ্রাহকদের সঙ্গে বোঝাপড়াই এখন ভরসা তাঁদের। কেব্‌ল সংযোগের সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে সেই বোঝাপড়া ভরসা গৃহস্থেরও।

Advertisement

৮ নভেম্বর সন্ধে থেকে সংবাদের চ্যানেলে নজর রাখা যেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অনেকের কাছেই। নোট সংক্রান্ত আ কী নির্দেশিকা জারি হল, খবর রাখতে হচ্ছে সকলকেই। কিন্তু নোটের অভাবে টাকা দিতে না পারলে টিভি-র কেব্‌ল সংযোগ কী ভাবে চালু রাখা যাবে, সেই চিন্তাতেও পড়েছিলেন অনেক গ্রাহক। মাসের মাঝামাঝি থেকে নিয়মমাফিক বিল নিতে এসেছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীরা। কিন্তু বহু গ্রাহকই ২০০০ টাকার নোট এগিয়ে দেওয়ায় ‘পরে আসব’ বলে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের।

সমস্যা মিটে যাবে শীঘ্র, এই আশায় ছিলেন অনেকে। কিন্তু বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। অনেক কেব্‌ল অপারেটর পুরনো নোট নেওয়াই শুরু করেন। সাধারণত মাসে দিতে হয় আড়াইশো বা তার কাছাকাছি কিছু টাকা। কেব্‌ল সংস্থার অনেক কর্মী জানান, পুরনো ৫০০ বা ১০০০ দিলে তাঁরা নিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু বাকি টাকা ফেরত দিতে পারেননি। জানিয়েছেন, এই টাকা জমা থাকছে। পরের মাসে আর বিল দিতে হবে না। পরিস্থিতি বুঝে রাজি হয়েছেন গ্রাহক। তবে কোনও কোনও গ্রাহক বিল দিতে না পারলে চাপ দেওয়া হচ্ছে না। পরের মাসে মিটিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে ওই কর্মীদের দাবি। শহরের এক কেবল সংস্থার কর্ণধার কৌশিক বসু বললেন, ‘‘ব্যবসা তো আর থেমে থাকে না। তাই বোঝাপড়া করে চলতে হচ্ছে। পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা করে দিতে হবে। এ ছাড়া উপায় কি!’’

Advertisement

ডিএসপি টাউনশিপের এ-জোনের বাসিন্দা মালিনী রায় জানান, এত দিন প্রতি মাসে একটি ৫০০ টাকার নোট দিতেন। বাকিটা ফেরত দিতেন সেই কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘একশো টাকার কিছু নোট রয়েছে হাতে। তা তো সংসার খরচের জন্যও প্রয়োজন। তাই সমস্যা হচ্ছে কেব্‌লের টাকা দিতে।’’ আরও ছোট খুচরো যেমন ১০ টাকা, ২০ টাকার নোট নেই। কেব্‌লের কর্মীরাও জানান, ছোট নোটের জোগানে ঘাটতি রয়েছে। কেউ তিনটি একশো টাকা দিলে ৭০ বা ৮০ টাকা ফেরত দিতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। সেক্ষেত্রেও বাকিটা তাঁদের কাছে জমা থাকছে। কোনও কোনও গ্রাহক আবার ২০ বা ৩০ টাকা এ মাসে দিচ্ছেন না। পরের মাসে দেবেন বলে জানাচ্ছেন। নোট বা খুচরোর ভোগান্তি এ ভাবেই বোঝাপড়া করে সমাধান করছেন দু’পক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন