মাইথনের হোটেলে পরিদর্শন। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
সরকারি নির্দেশ পাওয়ার পরেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিতে খাবারের মান যাচাইয়ে নামল প্রশাসন। বুধবার মাইথন ও কল্যাণেশ্বরীর বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তরাঁয় অভিযান চালায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকেরা। বড় কোনও বেনিয়ম পাওয়া না গেলেও রেস্তরাঁ ও হোটেলের মালিকদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার নানা এলাকায় হোটেল ও রেস্তরাঁর খাবার নিয়ে ক্রেতারা অভিযোগ তুলছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে জেলার আধিকারিকদের কাছে ধারাবাহিক ভাবে খাবারের গুণমান যাচাই করার নির্দেশ এসেছে।
সম্প্রতি আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভা এলাকাতেও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা পুরসভা কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নানা রেস্তরাঁয় অভিযান চালিয়েছেন। কিছু খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কল্যাণেশ্বরী ও মাইথন অঞ্চলে নিয়মিত বাইরে থেকে মানুষজন আসেন। তাই এখানকার হোটেল-রেস্তরাঁগুলিতে নিয়মিত খাবারের মান পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকেরা। দফতরের এসিপি অজয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। কিছু বিষয়ে মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে।’’