নষ্ট: জমিতে পড়ে শুকোচ্ছে লঙ্কা। নিজস্ব চিত্র
আলু, পেঁয়াজের পর লঙ্কা চাষ করেও বিপাকে পড়েছেন জেলার বহু চাষি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জমিতেই লঙ্কা পেকে লাল হয়ে যাচ্ছে। লাভজনক দর না থাকায় তা তুলতে গা করছেন না অনেকেই।
লঙ্কা চাষের পক্ষে সহায়ক আবহাওয়া রয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। জেলার চাষিদের উৎপাদিত লঙ্কা ভিন্ রাজ্যেও পৌঁছয়। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই সময় প্রতি কেজি লঙ্কার দাম থাকে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এ বার লঙ্কার দর তলানিতে ঠেকেছে। কেজি প্রতি পাকা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। অন্য দিকে, কাঁচা লঙ্কার দর ছয় থেকে সাত টাকা। জমি থেকে লঙ্কা তোলার জন্য কেজি প্রতি খরচ দিতে হয় চার টাকা। এ ছাড়াও বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া, আড়তদারের কমিশন-সহ চাষের খরচ রয়েছে। চাষিদের দাবি, এ বার বিঘে প্রতি জমিতে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।
বিকল্প চাষ হিসাবে মন্তেশর ব্লকে হুড়কোডাঙা, নতুনগ্রাম, লহনা, বলরামপুর, চুয়াডাঙা, বরকলমির মতো গ্রামে লঙ্কা চাষ প্রসার লাভ করেছে। চাষিরা জানাচ্ছেন, জমি থেকে লঙ্কা তোলা শুরুর পর থেকে দর কমতেই রয়েছে। হুড়কোডাঙার লঙ্কা-চাষি নবগোপাল পাত্র, সামিম মল্লিকরা বলছেন, ‘‘এ বার লঙ্কা চাষ করে এলাকার বহু চাষি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।’’ সরকার লাভজনক দরে লঙ্কা কিনুক, এমন দাবিও উঠেছে।
কেনও লঙ্কা দাম নেই?
কৃষি দফতর জানাচ্ছে, এ বার আবহাওয়া ভাল থাকায় ফলন হয়েছে ভাল। চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হয়ে যাওয়ার কারণেই ভাল দর মিলছে না।