Health

চাহিদা তুঙ্গে, অমিল স্যানিটাইজ়ার 

রাস্তাঘাটে ব্যবহারের সুবিধার কারণে বিভিন্ন দফতর থেকে স্কুল-কলেজ সব জায়গাতেই বেড়ে গিয়েছে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’-এর চাহিদা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০১:৫৮
Share:

ফাইল চিত্র

কয়েক মাস আগেও ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’-এর খোঁজ করতেন না জেলার বেশির ভাগ মানুষ। গ্রামগঞ্জের দোকান তো বটেই, শহরাঞ্চলের দোকান বা শপিং মলে তরল সাবান বিক্রি হলেও ‘স্যানিটাইজ়ার’-এর বিক্রি খুব একটা ছিল না। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে ওই ‘স্যানিটাইজ়ার’ কেনার চাহিদা এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে হাহাকার দেখা দিয়েছে বাজারে। বর্ধমানের একাধিক দোকানে দেখা গিয়েছে, ‘স্যানিটাইজ়ার’ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। সঙ্গে ‘মাস্ক’ও অপ্রতুল, দাবি তাঁদের।

Advertisement

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রাস্তাঘাটে ব্যবহারের সুবিধার কারণে বিভিন্ন দফতর থেকে স্কুল-কলেজ সব জায়গাতেই বেড়ে গিয়েছে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’-এর চাহিদা। মেমারি, গলসি, গুসকরা, কাটোয়া, কালনার একাধিক দোকানদারের দাবি, যে ক’টা ছিল সব বিকিয়ে গিয়েছে। ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে বরাত দিয়েও মিলছে না, দাবি ব্যবসায়ীদের। তাঁদের দাবি, প্রতি ১০ মিনিটে অন্তর এক জন ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’-এর খোঁজ করছেন।

বর্ধমান শহরের গোপালবাগ মোড়ের ব্যবসায়ী শঙ্খদীপ রাজের দাবি, “আগে সারা মাসে ৮-১০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রি হত। এখন দিনে কত যে লোক আসছে, ঠিক নেই।’’ বিসি রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী হিরন্ময় গুহ বলেন, “আগে দিনে দু’টোও বিক্রি হত না। গত সপ্তাহে দিনে একশোর উপরে বিক্রি করেছি। গত তিন দিন ধরে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাওয়া যাচ্ছে না।’’ খোসবাগানের ওষুধ ব্যবসায়ী পরিমল আচার্যেরও দাবি, “প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জোগান নেই। দিতে পারছি না বলে আমাদেরই খারাপ লাগছে।’’ রায়না-খণ্ডঘোষ-জামালপুরের ওষুধ ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, দোকানে পড়ে থেকে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ‘স্যানিটাইজ়ার’ ফেলে দিতে হত। এখন দিনে ৩০-৪০ জন এসে ‘স্যানিটাইজ়ার’-এর খোঁজ করছেন। না পেয়ে অনেকে তরল সাবান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement

ক্রেতাসুরক্ষা নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কুদরুতুল আবেদিন বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ওই দু’টি দ্রব্যকে অত্যাবশকীয় পণ্য বলে ঘোষণা করেছে। রাজ্য সরকারের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নজর দেওয়া দরকার।’’ ইতিমধ্যে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ বেশ কিছু দোকানে অভিযানও চালিয়েছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘রাজ্য থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজ়ার, হ্যান্ডওয়াশ পাঠানো হয়েছে। কালোবাজারি রুখতে অভিযানও শুরু হয়েছে।’’ মঙ্গলবার দুপুরেও একাধিক দোকানে অভিযান হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement