Coronavirus

‘দিদিকে বলো’য় ফোন, অদ্রিজার পাশে প্রশাসন

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অদ্রিজা সাহায্য চেয়ে ‘দিদিকে বলো’-য় ফোন করেছিলেন। এর পরেই বিষয়টি দেখার জন্য রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন মমতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০০:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি

অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়া ফুটবলার অদ্রিজা সরখেলের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার অদ্রিজার বাড়ি গিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অদ্রিজা সাহায্য চেয়ে ‘দিদিকে বলো’-য় ফোন করেছিলেন। এর পরেই বিষয়টি দেখার জন্য রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন মমতা। অরূপবাবু বিষয়টি তাঁকে জানান, জানিয়েছেন জিতেন্দ্রবাবু।

এর পরে এ দিন দুপুরে রূপনারায়ণপুরের মহাবীর কলোনির বাসিন্দা অদ্রিজার সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতা করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর নির্দেশে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরাপাশে থাকব।’’

Advertisement

জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছেন দশম শ্রেণির পড়ুয়া ‘গোলকিপার’ অদ্রিজা। তিনি জানান, পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বাবা সঞ্জয় সরখেল বার্নপুরের একটি ঠিকা সংস্থায় কাজ করেন। অদ্রিজার মা ও দুই বোনের সঙ্গে সঞ্জয়বাবু বার্নপুরেই থাকেন। অদ্রিজা দাদু-দিদিমার সঙ্গে রূপনারায়ণপুরে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি গোয়ায় প্রশিক্ষণ শিবির থেকে ফিরেছি। প্রতিদিন আমার যে পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। রাজ্য সরকার সহযোগিতা করেছে।’’ এই সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন অদ্রিজার দাদু সমর ভট্টাচার্যও।

তবে এ দিন অদ্রিজার হাতে সহযোগিতা তুলে দেওয়ার সময়ে জিতেন্দ্রবাবু-সহ বাকিদের বেশির ভাগই ‘মাস্ক’ পরে ছিলেন না বলে দেখা যায়। জিতেন্দ্রবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘প্রত্যেকেই মাস্ক পরেছিলেন। অদ্রিজার বাড়িতে ঢুকে তা খোলা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন