CPM

CPM-Congress: বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা হচ্ছে না

ঘটনাচক্রে, ২০১৫-র পুরভোটে বামফ্রন্ট ১৫টি, কংগ্রেস তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল। বামফ্রন্টের পাঁচ কাউন্সিলর এবং কংগ্রেসের তিন কাউন্সিলরই পরে তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

আসানসোলে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হল না। বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি নেতৃত্বের। আজ, বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডেই বামফ্রন্ট প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে বলে সূত্রের দাবি।

Advertisement

এ দিন আসানসোলে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি ও ফরোয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্ব। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বংশগোপাল চৌধুরী বৈঠক শেষে বলেন, “গত বার বামফ্রন্টের চার শরিক যতগুলি করে প্রার্থী দিয়েছিল, এ বারও তাই হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের কোনও আসন সমঝোতা হয়নি। প্রস্তাব এলেও তা বিবেচনা করা হবে না।” বামফ্রন্টের বৈঠকের নির্যাস অনুযায়ী, সিপিএম ৬৫টি, ফরোয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ১৫টি করে এবং আরএসপি ১১টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে।

শিলিগুড়ি, বিধাননগর, হাওড়া ও আসানসোল— রাজ্যের এই চারটি পুরনিগমের ভোটে জোট হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তের ভার জেলা নেতৃত্বের হাতেই ছেড়ে দিয়েছে রাজ্য সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেস। শিলিগুড়িতে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে দু’দলের নেতাদের মধ্যে। তবে আসানসোলে তেমনটা গোড়া থেকেই দেখা যায়নি।

Advertisement

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? বংশগোপালের তোপ, “খনি ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বাঁচানোর আন্দোলন, ধর্মঘট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচি, কোনও ক্ষেত্রেই যৌথ ভূমিকায় দেখা যায়নি জেলা কংগ্রেসকে। ফলে, ওই দলের সঙ্গে বছরভর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখা সম্ভব হয়নি।” এ দিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের আঞ্চলিক স্তরে আসন সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখানে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলাটা স্থানীয় বাম নেতা, কর্মীদের অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না।”

পাল্টা, সরব হয়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বও। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্বের আগ্রহ থাকলেও আঞ্চলিক স্তরে বামেদের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা করার মতো পরিস্থিতি নেই। তাঁর দাবি, “আমরা জোট চাইনি বলেই ওঁদের কাছে প্রস্তাব পাঠাইনি। ওঁদের কাছে মাথা ঝোঁকানোর প্রশ্নই নেই। একাই সব আসনে লড়ব আমরা। ৩১ জানুয়ারি প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হবে।”

ঘটনাচক্রে, ২০১৫-র পুরভোটে বামফ্রন্ট ১৫টি, কংগ্রেস তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল। বামফ্রন্টের পাঁচ কাউন্সিলর এবং কংগ্রেসের তিন কাউন্সিলরই পরে তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিকে, ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে আসানসোল পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডের একটিতেও এগিয়ে ছিল না সংযুক্ত মোর্চা। উল্টে, শহরের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, ২০২১-এর ভোটে ওই মোর্চা নিয়ে একটি নেতিবাচক ধারণাও তৈরি হয়েছিল বাম, কংগ্রেসের বহু দিনের পরিচিত সমর্থকদের একাংশের মধ্যে। তাঁদের অনেকে তৃণমূল বা বিজেপিতে ভোটও দিয়েছিলেন বলে দাবি ওই পর্যবেক্ষকদের। সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতেও এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মত ওই অংশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement