কোটি টাকা হাতিয়ে চম্পট, অভিযোগ

পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্চিতা বসাক ও তাঁর স্বামী, পেশায় তাঁত ব্যবসায়ী শিবনাথবাবু জানান, চলতি বছরের ২ মার্চ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। সেখানে শিবনাথবাবু জানান, ২০১৪-র ১৫ সেপ্টেম্বর গোপালের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন শিবনাথবাবু।

Advertisement

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

কালনা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০২:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বকেয়া টাকা মিলছে না কেন, এই প্রশ্ন নিয়ে কালনা আদালতে জড়ো হয়েছিলেন ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও কয়েক জন তাঁতি। কিন্তু বুধবার আদালত চত্বরে দেখা মেলেনি পূর্বস্থলীর ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস ওরফে বলার। প্রধান জানান, গোপালের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল তাঁর স্বামীর। অভিযোগ, গোপালবাবু তাঁতিদের প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ টাকা না মিটিয়ে চম্পট দিয়েছেন।

Advertisement

পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্চিতা বসাক ও তাঁর স্বামী, পেশায় তাঁত ব্যবসায়ী শিবনাথবাবু জানান, চলতি বছরের ২ মার্চ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। সেখানে শিবনাথবাবু জানান, ২০১৪-র ১৫ সেপ্টেম্বর গোপালের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন শিবনাথবাবু। ধাত্রীগ্রামে তাঁতিদের কাছ থেকে কাপড় কিনতেন শিবনাথবাবু। সেই কাপড় কিনতে ধাত্রীগ্রামে আসতেন গোপাল।

ব্যবসা শুরুর মাস আটেক পরে সমস্যার সূত্রপাত। শিবনাথবাবুর অভিযোগ, ‘‘দিচ্ছি-দেব করে কোটি টাকা বকেয়া রেখেছেন উনি। কয়েকবার চেক দিলেও তা বাউন্স করে।’’ শিবনাথবাবু আরও জানান, মাস ছয়েক আগে পূর্বস্থলীতে যে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন পূর্বস্থলীর কঙ্কাল তৈরির কারবারি মুক্তি বিশ্বাসের ছেলে গোপাল, সেখান থেকেও তিনি চম্পট দেন। তবে এই সময়ে দু’টি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা যেত গোপালের সঙ্গে। শিবনাথবাবুর অভিযোগ, বকেয়া চেয়ে তাগাদা দেওয়ায় এক বার খুনের হুমকিও দিয়েছেন গোপাল। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেও লাভ না হওয়ায় তিনি এসডিপিও (কালনা) প্রিয়ব্রত রায়ের সঙ্গেও দেখা করেন বলে জানান শিবনাথবাবু।

Advertisement

বুধবার অন্য একটি মামলায় গোপালের আদালতে আসার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর দেখা মেলেনি বলে দাবি সঞ্চিতাদেবীর। তাঁর দাবি, ‘‘বকেয়া টাকার বেশির ভাগটাই ২৩ জন তাঁতির। গোপাল টাকা না মেটানোয় স্বামীর ব্যবসা ভেঙে গিয়েছে। তাঁতিদের কাছেও জবাব দিতে পারছি না।’’ গোপালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন তাঁতিরাও। শম্ভু বসাক, পরিমল মিস্ত্রি, মিঠুন দেবনাথ-সহ কয়েক জন তাঁতি বলেন, ‘‘আড়াই বছরে অজস্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গোপাল। আমরা ডুবতে বসেছি।’’

যদিও প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালের বিরুদ্ধে এর আগে নদিয়ায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। এ ছাড়াও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র-সহ নানা ধরনের কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা গোপালের বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘অভিযুক্ত পলাতক, তাঁর খোঁজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন