Arrest

ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিলেন! উত্তরপ্রদেশের যুবক-সহ তিন জন গ্রেফতার পূর্ব বর্ধমানে

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে গলসি থানার ছোটমুড়িয়া মোড়ের কাছে ডিভিসি ক্যানেল ব্রিজে কয়েক জন ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে ওই তিন জনকে ধরা হয়। দলের বাকিরা পালিয়ে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫ ২৩:০৯
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার দাবি করে উত্তরপ্রদেশের এক যুবক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রাজকুমার সিংহ ওরফে রামু, মুকেশ পাশমান ও বিষ্ণু পাশমান। উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলার ঘণ্টাঘর থানা এলাকায় রাজকুমারের আদিবাড়ি। বর্তমানে তিনি হুগলির পান্ডুয়া রেলস্টেশন এলাকায় থাকেন। বাকি দু’জনের বাড়ি বর্ধমান থানার তেলিপুকুরের বালিগাদা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে গলসি থানার ছোটমুড়িয়া মোড়ের কাছে ডিভিসি ক্যানেল ব্রিজে কয়েক জন ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে ওই তিন জনকে ধরা হয়। দলের বাকিরা পালিয়ে যান। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ছুরি, লোহার রড, নাইলনের দড়ি, লাঠি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা গাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনায় তাঁরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে থানা। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতরা আদালতে জানায়, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

মুকেশ ও বিষ্ণু জানায়, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়। অন্য দিকে রাজকুমার জানায়, তিনি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে হাওড়া থেকে যাচ্ছিলেন। শনিবার ভোররাতে ট্রেনটি খানা জংশন স্টেশন এলাকায় সিগনাল না থাকার কারণে দাঁড়িয়ে যায়। সে সময় তিনি ট্রেন থেকে নামেন। তখন একাই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

Advertisement

ধৃতদের আইনজীবী পুলক মুখোপাধ্যায়ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে জামিন চান। সরকারি আইনজীবী নারদকুমার ভুঁইঞা অবশ্য জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে গলসি থানার ওসির কাছে গ্রেফতারির বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন সিজেএম বিনোদকুমার মাহাতো। ঘটনার দিনের রাত ১২টা থেকে পরের দিনের দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। মামলার পরবর্তী শুনানির দিনে রিপোর্ট এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেশ করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য জেলার পুশস সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১২ জুন ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement