Death

দেওয়াল ভেঙে বিপত্তি, মৃত্যু কিশোরীর

পড়শিরা জানান, পরিত্যক্ত বাড়িটি শরিকি সম্পত্তি। দেওয়ালটি ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়লেও সেটি সংস্কার বা ভেঙে ফেলা হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অণ্ডাল শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৫৩
Share:

বিপত্তি এখানেই। অণ্ডালের খান্দরা গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

পরিত্যক্ত একটি বাড়ির দেওয়ালের একাংশ ভেঙে লাগোয়া একটি বাড়ির ছাদে পড়ল। তার জেরে অ্যাসবেস্টসের চাল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে সৌমি মজুমদার (১৪) নামে এক কিশোরীর। বৃহস্পতিবার রাতে অণ্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতের খান্দরা গ্রামের বক্সীপাড়ার ঘটনা। সৌমি খান্দরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বাজ পড়ে। সেই সময়ে পরিত্যক্ত ওই বাড়িটির দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে পাশেই সোমনাথ মজুমদারের বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চালের উপরে। পেশায় দিনমজুর ও ঘটক সোমনাথবাবু জানান, তাঁদের দু’ঘরের বাড়ি। চার মেয়ে ও তিন ছেলে। একটি ঘরে তিনি তাঁর এক ছেলে তক্তার উপরে এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্কিতাদেবী ও সৌমি মাটিতে শুয়েছিলেন। আচমকা অ্যাসবেস্টসের চালের একাংশ ভেঙে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে যায় সৌমি। মাথা ফাটে সোমনাথবাবু ও সঙ্কিতাদেবীর। সকলকেই উদ্ধার করেন পড়শিরা। খান্দরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার সৌমিকে মৃত ঘোষণা করেন।

পড়শিরা জানান, পরিত্যক্ত বাড়িটি শরিকি সম্পত্তি। দেওয়ালটি ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়লেও সেটি সংস্কার বা ভেঙে ফেলা হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা গণেশ বাদ্যকর জানান, প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো ওই বাড়িটির দেওয়াল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ভেঙে দিতে পদক্ষেপ করা হবে। বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি ওই বাড়িটির মালিকদের সঙ্গে।

Advertisement

ব্লক বিপর্যয় ব্যবস্থাপন আধিকারিক (অণ্ডাল) সন্দীপকুমার পাল জানান, বাড়ি ভেঙে যাওয়া ও বিপর্যয়জনিত কারণে মৃত্যুর জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে পরিবারটি। তৃণমূল পরিচালিত খান্দরা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী জানান, ‘বাংলা আবাস যোজনা’য় সোমনাথবাবুদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

তবে এই ঘটনায় বিভিন্ন এলাকার পুরনো বাড়িগুলির অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন