flood

জলমগ্ন এলাকায় ত্রাণ না মেলার নালিশ গুসকরায়

এলাকাবাসীর অনেকে দাবি করেন, পুরসভার তরফে কোনও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গুসকরা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ০৬:২০
Share:

জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে, অভিযোগ গুসকরার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু বাসিন্দার। নিজস্ব চিত্র।

টানা দু’দিন জলবন্দি অবস্থায় থাকলেও পুরসভার তরফে ত্রাণ মেলেনি, অভিযোগ গুসকরার কিছু বাসিন্দার। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরাও। যদিও গুসকরা পুরসভার দাবি, শনিবার রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার ত্রিপল পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

কুনুরের জল উপচে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গুসকরা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, শনিবার সকাল থেকেই শিবতলা, বিহারিপটি এলাকার বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রায় ৪০-৫০টি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। কয়েকটি কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে। বেশ কিছু পরিবারকে অন্যত্র সরে যেতে হয়েছে। রবিবার বিকেল থেকে ফের বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর অনেকে দাবি করেন, পুরসভার তরফে কোনও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা পুতুল সাহানি, রুনু ঝাঁ, গণেশ ভগতদের অভিযোগ, ‘‘বাড়িঘর জলে ডুবে আছে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে না খেয়ে রয়েছি। পুরসভা থেকে কেউ দেখতেও আসে নি।’’ তাঁদের দাবি, পাঁচটি পরিবারের ২১ জন সদস্যকে এক জনের মাটির বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। কোনওরকমে মাথা গুঁজে থাকতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ভাল না থাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে জল জমে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কিরণ সাহানি, কিরণ যাদব, বন্যা যাদব, সবিতা মাহাতোদের অভিযোগ, ‘‘পুরসভা থেকে এলাকার কোনও উন্নয়ন করা হয়নি। ফলে, বছর-বছর এ ভাবেই ভুগতে হয়।’’

Advertisement

স্থানীয় সিপিএম নেতা মনোজ সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘জলবন্দি মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁদের গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। পুরসভা তাঁদের কোনও খোঁজ নেয়নি। আগে থেকে পরিকল্পনা না থাকায় পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’’ তিনি দাবি করেন, অপরিকল্পিত ভাবে ‘মেলবন্ধন সেতু’ নির্মাণ করা হয়েছে। তার জেরে জল নিকাশি না হওয়ায় ওই এলাকা ভুক্তভোগী হচ্ছে। আরও মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিজেপি নেতা পতিতপবন হালদারের অভিযোগ, ‘‘ত্রাণ নিয়ে দলবাজি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। জলমগ্ন পরিবারগুলির কাছে সরকারি ত্রিপল পৌঁছচ্ছে না।’’

তৃণমূলের ওই ওয়ার্ডের সভাপতি কৃষ্ণ ভটাচার্যের অবশ্য দাবি, ‘‘জলবন্দি মানুষজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। বাসিন্দাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ গুসকরা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য কুশল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, শনিবার রাতেই জলবন্দি পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার ওই এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রিপলও পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন