TMC

তৃণমূলের দুই সভার পরে সংঘর্ষ গলসিতে

অভিযোগ, দুই সভা থেকে দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা বাড়ি ফেরার সময়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। লাঠি, বাঁশ ও ইট-পাটকেল দিয়ে দু’পক্ষের লড়াই বেধে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালে তেতে উঠল গলসি ১ ব্লকের কড়কডাল ও পুরসা এলাকা। দু’জায়গায় সংঘর্ষে জনা ছ’য়েক আহত হয়েছেন বলে তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের পুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে দু’জনকে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, ২৭ সেপ্টম্বর বুদবুদ বাজার প্রতিবাদসভা করেছিল তৃণমূলের একাংশ। রবিবার সেখানে ফের প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে। তবে তাতে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর মদত ছিল বলে অভিযোগ। এই কর্মসূচির পরেই উত্তপ্ত হয় এলাকা।

২৭ সেপ্টম্বর সভায় ছিলেন দলের কো-র্ডিনেটর তথা গলসির বিধায়ক অলোক মাঝি, নবনির্বাচিত ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি পার্থসারথী মণ্ডল, সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি জাহির আব্বাস মণ্ডলেরা। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এ দিন ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেখা যায় দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শেখ জাকির হোসেন, বিজেপি ছেড়ে সদ্য দলে যোগ দেওয়া সুন্দর পাসোয়ানদের। যোগ দিয়েছিলেন জেলা সম্পাদক কাঞ্চন কাজি, জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডল, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রোকেয়া বেগম, সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায়েরাও।

Advertisement

এ দিনই আবার লোয়াপুর গ্রামে ব্লক সভাপতি জনার্দনবাবুর নেতৃত্বে একটি সভা ছিল। অভিযোগ, দুই সভা থেকে দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা বাড়ি ফেরার সময়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। লাঠি, বাঁশ ও ইট-পাটকেল দিয়ে দু’পক্ষের লড়াই বেধে যায়। আহতদের পুরসা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হলে দেখতে যান দলের নেতা ওমর ফারুক। তখন তাঁর উপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘দলের কর্মীদের দেখতে গেলে জাকিরের লোকজন চড়াও হয়ে মারধর করে।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকিরের দাবি, ‘‘সভায় প্রায় তিরিশ হাজার লোক জমায়েত হয়েছিল। সভা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কী ঘটেছে, আমার জানা নেই।”

ব্লক সভাপতি জনার্দনবাবুর অভিযোগ, “এলাকায় উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে দলের একাংশ। বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।” বিধায়ক তথা দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অলোকবাবু বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে। যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দল ব্যবস্থা নেবে। পুলিশও বিষটি দেখছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন