স্লোগানে কানে তুলো বিচারকের

গত ২৩ জুন প্রথম দফায় সিজেএম সঞ্জয়রঞ্জন পাল ও সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) মন্দাক্রান্তা সাহাকে বয়কট করা হলেও অস্থায়ী বিচারকেরা এজলাসে থাকলে মামলার শুনানিতে যোগ দিচ্ছিলেন আইনজীবীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০২:০৮
Share:

একই দিনে দু’রকম দৃশ্য দেখল বর্ধমান আদালত।

Advertisement

সকালে এক মহিলা বিচারকের এজলাসের সামনে ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ দেখালেন আইনজীবীরা। তাঁদের চিৎকারের হাত থেকে রেহাই পেতে বিচারক কানে তুলো গুঁজলেন! বিকেলে জেলা জজ, সিজেএম-সহ কয়েকজন বিচারক আবার বার অ্যাসোসিয়েশনের দফতরে গিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বয়কট তোলা নিয়ে আলোচনা করেন। কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। আলোচনা চলাকালীন মিষ্টিমুখও হয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য বলেন, “সৌহার্দ্য পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বয়কট ওঠা সময়ের অপেক্ষা।” আজ, শনিবার সাধারণ সভা রয়েছে।

গত ২৩ জুন প্রথম দফায় সিজেএম সঞ্জয়রঞ্জন পাল ও সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) মন্দাক্রান্তা সাহাকে বয়কট করা হলেও অস্থায়ী বিচারকেরা এজলাসে থাকলে মামলার শুনানিতে যোগ দিচ্ছিলেন আইনজীবীরা। ৮ অগস্ট থেকে আইনজীবীরা পুরো আদালত বয়কট করায় ভোগান্তিতে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা। ফলে জামিন পাওয়ার পরেও আইনজীবীরা আদালতে ‘বেল বন্ড’ না দেওয়ায় অনেক অভিযুক্তই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছিলেন না। বিচারপ্রার্থীদের ‘চাপ’ বাড়ছিল আইনজীবীদের উপর। বিচারকরাও তাঁদের অবস্থানে ‘অনড়’ ছিলেন। সমাধানের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলার দায়িত্বে থাকা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক পার্থ হাটী বলেন, “শনিবার বারের সাধারণ সভা রয়েছে। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Advertisement

এ দিকে, সকালে আইনজীবীরা রাজনৈতিক দলের মতোই মহিলা বিচারকের এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান, স্লোগানও দেন। আইনজীবীদের চিৎকারের হাত থেকে বাঁচতে ওই বিচারক এক সময় এক কর্মীকে দিয়ে তুলো আনিয়ে কানে গুঁজে এজলাসে বসেন। জানা গিয়েছে, বিকেলে বিক্ষোভ চলাকালীন আইনজীবীদের স্লোগানের ভাষা নিয়ে জেলা জজের কাছে আপত্তির কথা জানিয়ে ওই বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement