ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারে ‘নামবে’ কন্যাশ্রীরা

জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, গত কয়েক মাসে পূর্ব বর্ধমানে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর মধ্যে ৭২ জন ‘বহিরাগত’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

পতঙ্গবাহিত নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিতে পদযাত্রা করল বর্ধমান ২ ব্লকের শক্তিগড় সফদর হাসমি উচ্চ বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রীর ছাত্রীরা। সোমবার বড়শুল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সাহায্যে এলাকার বাসিন্দাদের ডেঙ্গি মোকাবিলার নানা পরামর্শ দেয় তারা। ছবি: জয়ন্ত বিশ্বাস

জেলা জুড়ে ডেঙ্গি-সচেতনতা তৈরিতে এবং ডেঙ্গি-আতঙ্ক রুখতে কন্যাশ্রীদেরও যুক্ত করতে হবে। প্রতিটি ব্লককে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, গত কয়েক মাসে পূর্ব বর্ধমানে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর মধ্যে ৭২ জন ‘বহিরাগত’। ‘প্রশাসকের’ হাতে থাকা বর্ধমান পুরসভায় ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এর পরেই রয়েছে কাটোয়া ১ ব্লক।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ্বর নিয়ে সবথেকে বেশি রোগী আসছেন মেমারি ২ ব্লক থেকে। স্বাস্থ্য দফতরের ধারণা, পুজোর পরে থেকে ‘ডেঙ্গি-আতঙ্ক’ ছড়িয়েছে জেলায়। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি-সচেতনতা নিয়ে বছরভর প্রচার, কামান দাগা, ধোঁয়া দেওয়া হলেও বর্ধমান পুরসভায় সে সব ‘দেখা যায়নি’। মশার লার্ভা নষ্ট করতেও পুরসভা ‘উদ্যোগী হয়নি’ এ যাবৎ। শহরের নর্দমাগুলিও বেহাল। শহরবাসীর অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানে মশার উৎপাতে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। একই ছবি গুসকরা, মেমারি-সহ অন্য পুরসভা এলাকাতেও।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় মশা-নিধনের পাশাপাশি, ডেঙ্গি-সচেতনতা তৈরিও জরুরি।

জেল প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর জানায়, এই সচেতনতা তৈরির কাজটিই এ বার করবে ‘কন্যাশ্রীরা’। আধিকারিকেরা চাইছেন, প্রতিটি স্কুলের ‘কন্যাশ্রী ক্লাব’গুলিকে নিয়ে পুরসভা কিংবা ব্লক প্রশাসন ডেঙ্গি-সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করুক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, এ জন্য চলতি বছরে দফতর পুরসভা ও ব্লকগুলিকে যথাক্রমে ৫০ হাজার ও এক লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “এর আগে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা করার জন্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে টাকা দিয়ে কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিকে নামানোর জন্য বলা হয়নি।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিকে কী ভাবে কাজে লাগানো হবে তা প্রাথমিক ভাবে ঠিক করবে ব্লক প্রশাসনই। কন্যাশ্রীদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করে তোলা, ডেঙ্গি বিষয়ে কুইজ ও নাটকের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেও সচেতন করার কথা বলা হবে।

বিষয়টি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়, ‘‘কন্যাশ্রীদের দিয়ে প্রচার করলে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়বে বলে মনে হয়। তাই, কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিকে প্রচারে নামানোর জন্য বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন