Coal Mine

ডুলি বিকল, ভূগর্ভে ৪ ঘণ্টা আটকে কর্মীরা 

খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতের পালিতে (শিফ্‌ট) রাত ১২টা নাগাদ ৪৫ জন খনিকর্মী ডুলিতে চেপে খনিগর্ভে নামেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২০ ০১:২১
Share:

উপরে আনা হচ্ছে আটকে থাকা কর্মীদের। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

ডুলির যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে পড়ায় খনির নীচে ঘণ্টা চারেক আটকে থাকলেন ৪৫ জন খনিকর্মী। রানিগঞ্জে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচা (আর) কোলিয়ারির ৭ নম্বর খনিতে ডুলি সারানোর পরে ওই কর্মীদের উপরে তুলে আনা হয়। গোটা ঘটনার জন্য খনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন নানা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

Advertisement

খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতের পালিতে (শিফ্‌ট) রাত ১২টা নাগাদ ৪৫ জন খনিকর্মী ডুলিতে চেপে খনিগর্ভে নামেন। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁরা উপরে উঠে আসার তোড়জোড় শুরু করেন। সেই সময়েই দেখা যায়, ডুলিটি বিকল হয়ে পড়েছে। ঘণ্টা চারেক ওই কর্মীদের ভূগর্ভেই আটকে থাকতে হয়। খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়ে দড়ির সাহায্যে কর্মীদের জল ও খাবার পাঠানো হয়েছে। সকাল ১১টা নাগাদ ডুলির যন্ত্রাংশ সারাইয়ের পরে কর্মীরা উপরে উঠে আসেন। খনির নীচে আটকে থাকা কর্মী মতন মাঝি, জুবের খান, হরিনারায়ণ রায়েরা বলেন, ‘‘ডুলিতে ওঠার পরে বিকল হয়ে গেলে নীচে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। মাঝপথে আটকে থাকার আশঙ্কাও ছিল। সৌভাগ্য, সে সব কিছু হয়নি।’’

কর্মীদের ভূগর্ভে আটকে থাকা নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলি অবশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। খনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তারা। বিএমএস নেতা ইন্দ্রদেব মোদী অভিযোগ করেন, এই কোলিয়ারির ৭ ও ৮ নম্বর দু’টি খনিতে আলাদা ভাবে কাজ হয়। কিন্তু একটি খনির ডুলি খারাপ হয়ে গেলে সিঁড়ির সাহায্যে অন্য খনিতে ঢুকে সেখানকার ডুলি দিয়ে উপরে উঠে আসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বছরখানেক ধরে সেই সিঁড়িপথটি বেহাল হয়ে রয়েছে। তার জেরেই এ দিন ৪৫ জন কর্মীকে দীর্ঘক্ষণ ভোগান্তি পোহাতে হল।

Advertisement

সিটু নেতা দেবীদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএনটিইউসি নেতা দেবাশিস রায়চৌধুরীরা দাবি করেন, এর আগে ডুলি আছড়ে পড়ার ঘটনায় কুনস্তরিয়া এরিয়ার অমৃতনগর কোলিয়ারিতে তিন জন, সাতগ্রাম এরিয়ার জেকেনগর কোলিয়ারিতে সাত জন কর্মী জখম হয়েছিলেন। জেকেনগর প্রজেক্টে ডুলি আটকে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ কর্মীদের আটকে থাকতে হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণে উদাসীনতার কারণেই নানা খনিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।

রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কথা অবশ্য মানতে চাননি খনি কর্তৃপক্ষ। সাতগ্রাম এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক বলেন, ‘‘ডুলির পিস্টনে ফাটল ধরায় সুরক্ষাজনিত কারণে ডুলি নামানো যায়নি। ফাটল সারানোর পরেই কর্মীদের তুলে আনা হয়েছে।’’ তাঁর আশ্বাস, ৭ ও ৮ নম্বর খনির মধ্যে যোগাযোগের সিঁড়িটি শীঘ্রই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন