durga pujo

মানুষের পুজো করে দুর্গোৎসবের সূচনা হয় আউশগ্রামের উল্লাসপুরে

আদিবাসী অধ্যুষিত গোপালপুর উল্লাসপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির আয়োজনে এ বারও থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। পুজোর থিম এ বার বাংলার বইগ্রাম

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৩৯
Share:

চলছে পুজোর প্রস্তুতি। — নিজস্ব চিত্র।

দুর্গা পুজো শুরুর আগে মানুষের পুজো করেন গ্রামের লোকজন। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে অজয় তীরের গোপালপুর উল্লাসপুর গ্রামে এ ভাবেই হয় দুর্গোৎসব। গত বছর যৌনকর্মীদের পুজো করা হয়। তার আগের বছর সাত জন বৃহন্নলাকে পুজো করেন উদ্যোক্তারা। কখনও কৃষক, কখনও শ্রমজীবীদের পুজো করা হয় মণ্ডপে। এমন ভাবেই দুর্গা পুজো হয় আউশগ্রামে।

Advertisement

আদিবাসী অধ্যুষিত গোপালপুর উল্লাসপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির আয়োজনে এ বারও থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। পুজোর থিম এ বার বাংলার বইগ্রাম। বইয়ের প্রচ্ছদ দিয়ে সাজানো শুরু হয়েছে পুজোর মণ্ডপ। প্রতিমাতেও থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া।

এই গ্রামের মহিলা, ক্ষেতমজুরদের নিয়ে পুজো শুরু করেছিলেন লেখক রাধামাধব মণ্ডল। ছোট থেকেই দেখেছেন নিজের গ্রামে কোনও পুজো নেই। গ্রামের সকলে পুজোর সময় অন্য গ্রামের জমিদারদের পুজো দেখতে যেতেন। তাই রাধামাধব শুরু করেন নিজের গ্রামে পুজো। তিনি বলেন, ‘‘এক সময় বন্যা, কলেরায় আমাদের দু’টি ছোট ছোট গ্রামের বহু মানুষ বীরভূমের নদী পাড়ের গ্রামে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। অনেকে মারাও যান অভাবে, বিনা চিকিৎসায়। ফলে গ্রামের বহু পুজো বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তা শুরু করি। আর মানুষের দানে যেহেতু হয় তাই এখানে মানুষেরই পুজো হয় প্রথমে।’’

Advertisement

রাধামাধব বলেন, ‘‘আমাদের পুজোর পরিচালন কমিটি মহিলাদের হাতে দেওয়া রয়েছে। এ বারও পুজোর উদ্বোধন হবে চতুর্থীর দিনে। সেদিন থেকেই নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে। নাটক করবেন গ্রামের মেয়েরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement