কড়া পাহারায় পুনর্নির্বাচন আমগড়িয়ায়

গত ২৯ এপ্রিলও ভোট হয়েছিল এখানে। ভোটপর্ব মেটার কিছুক্ষণ আগেই সবুজ জামা পড়া এক জন ভোটকক্ষে ঢুকে ভোটারদের ভোট দেওয়াচ্ছেন, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সিপিএমের তরফেও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়।

Advertisement

সুচন্দ্রা দে

কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০১:৫০
Share:

বাহিনীর নজরদারি কেতুগ্রামের বুথে।

কড়া পাহারায় পুনর্নির্বাচন হল বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের কেতুগ্রামের আমগড়িয়ার ৫২ নম্বর বুথে। রবিবার ভোর থেকেই আমগড়িয়া বাজার মোড়ে নাকা তল্লাশি চলে। মোটরবাইক হোক বা টোটো, থামিয়ে তল্লাশি চালান পুলিশকর্মীরা। বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রীদেরও একে একে তল্লাশি করা হয়। বুথেও পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান।

Advertisement

গত ২৯ এপ্রিলও ভোট হয়েছিল এখানে। ভোটপর্ব মেটার কিছুক্ষণ আগেই সবুজ জামা পড়া এক জন ভোটকক্ষে ঢুকে ভোটারদের ভোট দেওয়াচ্ছেন, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সিপিএমের তরফেও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বুথের বিষয়ে শুরুতে কোনও স্তর থেকেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। পরে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ভিডিয়োটি চোখে পড়ে বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েকের। তদন্তে জানা যায়, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। সূত্রের খবর, বিশেষ পর্যবেক্ষকের নির্দেশে ওই বুথে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এ দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ওই বুথে।

এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বুথে আসেন বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। তিনি এসেই ভোটকক্ষে ঢুকতে চাইলে তাঁকে বাধা দেন দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা জওয়ান। প্রার্থীর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে জওয়ানরা বিজেপির শিখিয়ে দেওয়া কথায় চলছে। উনি প্রার্থীকে ভেতরে যেতে না বলতে পারেন না। উনি যখনই বললেন, তখনই বললাম এটা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।’’ পরে প্রিসাইডিং অফিসার নির্দেশ দেওয়ার পরে ভেতরে ঢোকেন ওই প্রার্থী। তাঁর দাবি, ‘‘কমিশন প্রতি বুথকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে। কিন্তু এ সব করে লাভ কি হল?’’

Advertisement

এর পরই ওই বুথে আসেন বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাস। তাঁর অভিযোগ, শনিবার অবধি এলাকায় দলের কর্মীদের ভয় দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ভয়, ভীতিই ওদের সম্পদ। অনেক জায়গাতেই ছাপ্পা হয়েছে। এই বুথের আশেপাশের বুথেও ছাপ্পা হয়েছে। কিন্তু তার প্রমাণ পায়নি কমিশন।’’ তাঁর আরও দাবি, যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করছে তাই তৃণমূলের অসুবিধে হচ্ছে।

গত ভোটের দিন তৃণমূলের এজেন্টই ভোট দেওয়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেছিলেন, দলেরই ‘বিক্ষুব্ধ’ কয়েকজন এ কাজ করেছে। শুধুমাত্র বয়স্কদের সাহায্য করা হচ্ছিল বলেও তাঁর দাবি ছিল। এ দিন ওই বুথে তৃণমূল ও কংগ্রেসের এজেন্টকে দেখা গেলেও, বিজেপি ও সিপিএমের এজেন্টদের দেখা যায়নি। সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমের দাবি, ‘‘ভয় দেখিয়ে আমাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন