Burdwan University Money laundering

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ তছরুপে ধৃতের জেল হেফাজত

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দু’কোটি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় ধৃত সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভক্ত মণ্ডলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিট। তাঁকে এর আগে ১৪ দিন হেফাজতে নিয়েছিল তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টার অপর একটি মামলায় তাঁকে ছ’দিন হেফাজতে নেয় সিআইডি। সিআইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ধৃতকে ফের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে বলে আদালতে আবেদন জানান সিটের তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

Advertisement

তদন্তকারী অফিসারের সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনও মঞ্জুর করেছে আদালত। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বর্ধমান সংশোধনাগারের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। এর আগে ধৃতের হাতের লেখা ও সইয়ের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য তদন্তকারী অফিসারের আবেদন মঞ্জুর করে সিজেএম আদালত। চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধৃতের হাতের লেখা ও সইয়ের নমুনা সংগ্রহ করে সিট। টাকা তোলার চেষ্টার মামলায় যে জাল চিঠি ব্যাঙ্কে পেশ করা হয়েছিল, তা জানিয়ে দিয়েছে সিআইডি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী শেখ ইনামুল হকের মাধ্যমে ব্যাঙ্কে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই জমা রাখা ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য ভক্ত চিঠি পাঠিয়েছিল বলে সিআইডি আদালতে দাবি করেছে। হেফাজতে থাকাকালীন ভক্তকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগে যায় সিটের একটি দল। ধৃতের দেখানো জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসারের দু’টি নকল সিল বাজেয়াপ্ত করে সিট। এছাড়া বেশকিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement