সংস্কার শুরুর সময়ে পূর্ত দফতর বলেছিল, দেড় মাসের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গটির সংস্কারের কাজ চলছে ঢিমে তালে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছেন কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক চলাকালীন বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন পার্থপ্রতিমবাবু। ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সমিতির অন্যান্য সদস্যরাও। তার পরে সমিতির সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছেও সংস্কারের কাছে গতি আনার আর্জি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে পার্থপ্রতিমবাবু অভিযোগ করেছেন, বর্ধমানের মর্গে সংস্কারের কাজ চলায় আপাতত ৬০ কিলোমিটার দূরের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাতপরিচয় দেহগুলি রাখা হচ্ছে এবং ময়না-তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেক সময়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।
মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, ‘‘বৈঠকে মর্গ সংস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কাটোয়ার মর্গে থাকা অজ্ঞাত পরিচয় দেহগুলি সরানোর জন্যে পুরসভাকে বলেছি।” কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পুলিশ মর্গে থাকা অধিকাংশ দেহগুলি ইতিমধ্যেই সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মর্গটি নিয়ে বহু দিন ধরে লাগাতার অভিযোগ ছিল। অনেক সময়ে ‘কুলিং সিস্টেম’ বন্ধ হওয়ায় দূষণ ছড়াচ্ছিল। তা ছাড়া দেহ রাখার জন্য যথেষ্ট জায়গার অভাব থাকায় ফরেন্সিক বিভাগের পড়ুয়াদেরও পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছিল।
মর্গের সংস্কারের জন্য গত বছরের অক্টোবর মাসে সরকার ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করে। চলতি বছরের ১৬ মার্চ সংস্কারের কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। সেই সময়ে পূর্ত দফতর জানায়, দেড় মাসের মধ্যে মর্গের সংস্কার ও আধুনিকীকরণ হয়ে যাবে। কিন্তু পার্থপ্রতিমবাবুর অভিযোগ, ‘‘কাজের যা গতি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মর্গ সংস্কারের কাজ শেষ হবে না।” পূর্ত দফতর জানিয়েছে, কাজ শেষ করতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।