এটিএমের দরজায় ‘নো ক্যাশ’ লেখা দেখে ফিরেই যাচ্ছিলেন যুবক। তবুও কী মনে হওয়ায় কার্ড ঢোকালেন টেলার মেশিনে। তারপরেই ভেল্কি। মেশিন থেকে বেরোল কড়কড়ে একশো টাকার নোট।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জেলাশাসকের দফতরের সামনে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে ওই ঘটনার পরেই সাড়া পড়ে যায় এলাকায়। টাকা পেয়েই আশপাশের লোকজনকে টাকা মেলার কথা জানান শুভাশিস রায় নামে ওই যুবক। টাকার অপেক্ষায় থাকা হতাশ মানুষজনের কোপে পড়েন এটিএমের রক্ষী। তাঁরা দাবি করেন, ইচ্ছে করেই ওই রক্ষী ‘নো ক্যাশ’ লেখা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। যাতে তাঁর চেনা লোকেদের প্রয়োজন মেটাতে পারেন। যদিও ওই নিরাপত্তারক্ষী তাপস দাসের দাবি, তিনি সকালে ডিউটিতে আসার আগে থেকেই ওই বোর্ড ঝুলছিল। তিনি আসার পরে টাকাও আসেনি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনিও জানতেন না মেশিনে টাকা রয়েছে।
এমনিতেই ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর থেকে নোটের সমস্যা চলছে রাজ্যে। একদিনে বড় অঙ্কের টাকা তুলতে পারায় প্রতিদিনই এটিএমে লাইন দিচ্ছেন গ্রাহকেরা। কিন্তু প্রতিদিনই শহরের কিছু এটিএমের শাটার অর্ধেক নামানো, কোথাও পুরোপুরি বন্ধ, কোথাও আবার দরজায় টাঙানো ‘নো ক্যাশ’ দেখে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের বেশির ভাগকে। এর মধ্যেই এ দিনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় শহরে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ভাতছালা, সর্বমঙ্গলাপাড়ার মতো কিছু জায়গায় ইচ্ছে করেই এটিএমে টাকা নেই বলছেন এলাকার অনেকে। যাতে নিজেরা প্রয়োজনের টাকা পান। তাঁদের দাবি, বাইরে থেকে কেউ এসে যাতে টাকা তুলতে না পারেন তাই এই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।
ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকের যদিও দাবি, এমন কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথাও বলেছেন তাঁরা।