Police Investigation

মঙ্গলকোটকাণ্ডে আটক সেই গাড়ি, তৃণমূলনেতা খুন না কি দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে রহস্য

তদন্তে নেমে দুর্ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে পুলিশ। এর পর ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়। তার পর অন্যান্য এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষার পাশাপাশি সূত্র মারফত খবর পেয়ে ঘাতক গাড়িটির হদিস পায় পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:২৩
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

পথ দুর্ঘটনায় গত বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তৃণমূলকর্মী লালু শেখের মৃত্যু হয়। ওই দুর্ঘটনায় লাখুড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মফিজুল শেখ জখম হন। দু’জনেই ছিলেন একই বাইকে। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনায় ঘাতক গাড়িটির হদিশ পায় পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই গাড়িটিকে আটক করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার পর মৃত লালুর ছেলে সাহিন শেখ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, এটি কোনও পথ দুর্ঘটনা নয় বরং পরিকল্পনামাফিক খুন!

Advertisement

তদন্তে নেমে দুর্ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে পুলিশ। এর পর ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়। তার পর অন্যান্য এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষার পাশাপাশি সূত্র মারফত খবর পেয়ে ঘাতক গাড়িটির হদিস পায় পুলিশ। গাড়িটিকে বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটের চাণক গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। চারচাকার ওই গাড়িটি একটি ফাঁকা জায়গায় ঢাকা দেওয়া অবস্থায় রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ। গাড়ির মালিক কে তা জানতে পরিবহণ বিভাগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে চাণক গ্রামের মধ্যে ঘাতক গাড়ি উদ্ধার করার পর পরিকল্পনামাফিক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হামলার অভিযোগ আরও জোরালো হতে শুরু করেছে।

Advertisement

পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজকে কার্যত অস্বীকার করে পাল্টা হুঁশিয়ারী দিলেন পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ১ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অপূর্ব। তিনি বলেন, “ আমরা আশা রাখছি পুলিশ এই ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আমরা মৃত এবং জখম দলীয় কর্মীর পরিবারের পাশে আছি।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “খুনের রাজনীতি হচ্ছে। এক জন বেঁচে আছেন। সে ফিরে আসুক। তারপর খেলা হবে।” তিনি আরও বলেন, “যারা দলের পদ হারিয়েছে তারাই এই খুন করিয়েছে।”

বুধবার দলীয় কর্মী ও বন্ধু লালুর সঙ্গে বাইকে করে মফিজুল কাটোয়া আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। বিকেলে বাইকে করে ফিরছিলেন দু’জনে। সেই সময় তাঁদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আটঘড়ায় একটি ইটভাটার কাছে মফিজুলের বাইকের সঙ্গে একটি চারচাকা গাড়ির সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লালুর। গুরুতর জখম হন মফিজুল। বৃহস্পতিবার মৃতের ছেলে সাহিন অন্তত ২৭ জন তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। অভিযোগ, মফিজুল ও লালুকে খুনের উদ্দেশ্যেই পরিকল্পনামাফিক দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তারা অভিযুক্তদেরও সন্ধান চালাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement