চিঠি গেলেই মিলবে ‘এসএমএস’

দিল্লিতে কর্মসূত্রে রয়েছেন ছেলে-বৌমা। আসানসোলে বসে বাবা-মা। নববর্ষে, ছেলে-বৌমাকে চমকে দিতে পার্সেলে পাঠিয়েছিলেন উপহার।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ১৪:৩০
Share:

দিল্লিতে কর্মসূত্রে রয়েছেন ছেলে-বৌমা। আসানসোলে বসে বাবা-মা। নববর্ষে, ছেলে-বৌমাকে চমকে দিতে পার্সেলে পাঠিয়েছিলেন উপহার। কিন্তু সেটা ছেলে হাতে পেয়েছে কি না, তা নিয়ে বেজায় দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন আসানসোলের দম্পতি। ডাকঘরের আসানসোলের ডিভিশনের দাবি, এ বার আর এমন ভোগান্তি পোহাতে হবে না প্রেরককে। সৌজন্য, ‘পোস্টম্যান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।’

Advertisement

আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোস্ট অমিত লাহিড়ী জানান, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শুরু হয়ে যাবে এই পরিষেবা। তাঁরা জানান, দেশের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ডিভিশনে পরীক্ষামূলক ভাবে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বেছে নেওয়া হয়েছে আসানসোল ডিভিশনকে। পরিষেবা শুরুর প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু এই পরিষেবাটি আসলে কী? আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোস্ট অমিতবাবু জানান, নতুন প্রযুক্তিতে রেজিস্ট্রি পোস্টের মাধ্যমে প্রেরকের পাঠানো চিঠি বা পার্সেল প্রাপকের হাতে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ‘পোস্টম্যান’ মোবাইলের মাধ্যমে ডাকঘরে রাখা কম্পিউটারে ‘মেসেজ’ পাঠাবেন। ডাকঘর থেকে সেই মেসেজ চলে যাবে প্রেরকের কাছে। একই ভাবে স্পিড পোস্টের চিঠিও প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রেরকের কাছে এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

ডাকঘরের কর্তাদের দাবি, নতুন পরিষেবায় প্রেরক বাড়িতে বসেই জেনে যাবেন তাঁর পাঠানো সামগ্রী প্রাপক কবে, কখন হাতে পেয়েছেন। অমিতবাবু জানান, নতুন প্রযুক্তিতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য শিল্পাঞ্চলের মোট ১৬৮ জন ডাককর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কর্মীকে একটি করে মোবাইল দেওয়া হয়েছে। আজ, ১৩ মে-র মধ্যে পরিষেবা শুরুর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি।

কিন্তু কেন এমন উদ্যোগ? ডাকঘর কর্তাদের দাবি, প্রথমত, ডাক-পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দেশের বেশ কিছু সংস্থা গ্রাহকদের এমন পরিষেবা দিচ্ছে। ‘কর্পোরেট’ দুনিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে তাই ভারতীয় ডাক বিভাগও এই পরিষেবা শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই পরিষেবা চালু হয়ে গেলে কর্ম-সংস্কৃতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়ক বলে দাবি কর্তাদের। কারণ, কিছু দিন পরে প্রত্যেকের মোবাইলে জিপিআরএস প্রযুক্তিও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে চিঠি বা পার্সেল সময়মতো পৌঁছনো হচ্ছে কি না, কম্পিউটারের পর্দায় ফুটে উঠবে।

কর্তাদের আশা, নতুন প্রযুক্তির ফলে আরও বেশি জনমুখী হবে ডাকঘরের পরিষেবা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন