বরাকরে পুলিশ ফাঁড়ির অদূরেই লুঠপাট বাড়িতে

পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে কুলটির বরাকর পুলিশ ফাঁড়ি রোডে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহা কাটার করাত উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৫ ০১:৩১
Share:

পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে কুলটির বরাকর পুলিশ ফাঁড়ি রোডে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহা কাটার করাত উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

ওই পরিবারের কর্তা গৌরচন্দ্র মিত্র মিষ্টি ব্যবসায়ী। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগে করেন, শনিবার রাতে সেই সময়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী দোকানে ছিলেন। বাড়িতে ছিলেন শুধু তাঁর ৯০ বছরের বৃদ্ধা মা কনকপ্রভা মিত্র। মায়ের ঘরটি ছাড়া সব ঘরেই তালা লাগানো ছিল। রাত ৯টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজার তালা কাটা। আলমারি লণ্ডভণ্ড। লুঠ হয়ে গিয়েছে বাড়িতে রাখা টাকা, গয়না। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এসিপি (পশ্চিম) অসিত পাণ্ডে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ছ’সাত জন দুষ্কৃতীর একটি দল বাড়িতে ঢুকেছিল। তাদের কয়েক জন বৃদ্ধার সঙ্গে কথাও বলে। বাকিরা লোহা কাটার করাত দিয়ে দরজার তালা কেটে ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে জিনিসপত্র বের করে নেয়। বৃদ্ধা পুলিশকে জানান, তিনি বেশ কয়েক বার আগুন্তুকদের পরিচয় জানতে চান। কিন্তু দুষ্কৃতীরা কোনও জবাব দেয়নি। শেষে তিনি চিৎকার করবেন জানালে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখে। তবে ওই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কী ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ছিল তা কনকপ্রভা দেবী জানাতে পারেননি। তিনি জানান, চোখে কম দেখেন। তার উপরে অন্ধকারে কিছু বুঝতে পারেননি।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘটনায় জড়িতরা এলাকার লোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের বিষয়ে তারা ওয়াকিবহাল ছিল। বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলার সময়ে গৌরচন্দ্রবাবু ও তাঁর স্ত্রীর নাম ধরে তারা ডাকাডাকিও করে বলে পুলিশ জেনেছে। এসিপি (পশ্চিম) অসিত পাণ্ডে বলেন, ‘‘এলাকা থেকে কিছু তথ্য জোগাড় করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। দ্রুত ধরা হবে।’’

জনবহুল এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই এমন ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা পেরোতে না পেরোতেই এমন ঘটনায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশ অবশ্য জানায়, সীমানা এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এলাকায় নাকাবন্দি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন