Policeman

উর্দি পরে তৃণমূলের মশারি বিতরণ অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত পুলিশ অফিসার! বর্ধমানে জোর বিতর্ক

একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ওসি ট্র্যাফিক বিশ্বনাথ পানকে সংবর্ধনা দিচ্ছে তৃণমূল। এবং ওই পুলিশ অফিসার তখন উর্দি পরে আছেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোলাপগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:১৬
Share:

পুলিশ আধিকারিকের এই সংবর্ধনা নেওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক পূর্ব বর্ধমানে। ছবি: সংগৃহীত।

কর্তব্যরত অবস্থায় এক পুলিশ আধিকারিক রাজ্যের শাসক দলের কর্মসূচিতে সংবর্ধনা নিয়েছেন। এই অভিযোগ জোর শোরগোল বর্ধমানে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতর। তবে অভিযুক্ত বর্ধমান গোলাপবাগ ট্র্যাফিক পোস্টের ওসি বিশ্বনাথ পাইন এই অভিযোগ স্বীকার করেননি। অন্য দিকে, জেলা পুলিশের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তদন্তের পর প্রয়োজনে শোকজ করা হতে পারে ওই পুলিশ আধিকারিককে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড় এলাকায় তৃণমূল যুব সঙ্ঘ, মশারি বিতরণের কর্মসূচি আয়োজন করেছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক খোকন দাস, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। সেখানকারই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওসি ট্র্যাফিক বিশ্বনাথ পানকে সংবর্ধনা দিচ্ছে তৃণমূল। এবং ওই পুলিশ অফিসার তখন উর্দি পরে আছেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা বিচার করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

তবে সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের কটাক্ষ, ‘‘এ রাজ্যের পুলিশ ‘মমতা পুলিশ’-এ পরিণত হয়েছে। এ কাজ অন্যায়। ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’’

Advertisement

যদিও বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে শাসক শিবির। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘কোনও দলীয় কর্মসূচিতে সরকারি আধিকারিক যেতে পারেন না। তবে এটা একটি ক্লাবের কর্মসূচি ছিল। ঠিক কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

বিতর্কের মুখে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক বিশ্বনাথের দাবি, তিনি এটা একটা ক্লাবের কর্মসূচি বলেই জানতেন। কোনও দলীয় সভায় যাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ওই জায়গায় ওই সময়ে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে ছিলাম। সেইসময় আমাকে অনুরোধ করা হয় ওই মঞ্চে সামান্য সময় থাকতে।’’

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন বলেন, ‘‘খবরটা আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। দেখি... আইন অনুযায়ী প্রয়োজনে শোকজ করা হবে অফিসারকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন