বিদায় সংবর্ধনা। নিজস্ব চিত্র
প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন দুঃস্থ মেধাবী কোনও পড়ুয়া তাঁর কাছে সাহায্য চেয়ে খালি হাতে ফেরেনি। অবসর নেওয়ার পরেও যাতে সেই সুযোগ থেকে পড়ুয়ারা বঞ্চিত না হয়, সে জন্য ছাত্রবৃত্তি চালু করতে অবসরকালীন ভাতা থেকে স্কুলকে এক লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন রথীন্দ্রনাথ মজুমদার।
বৃহস্পতিবার বার্নপুরে শান্তিনগর বিদ্যামন্দিরে ওই প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা হয়। ছিলেন স্থানীয় ক্লাব ও সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যেরা। রথীন্দ্রনাথবাবু ১৯৮৪ সালে রসায়নের শিক্ষক হিসেবে এই স্কুলে যোগ দেন। ২০০৫ সালে প্রধান শিক্ষক হন। তিনি বলেন, ‘‘কর্মজীবনে বহু দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়াকে কষ্ট পেতে দেখেছি। অনেক সহকর্মী সাহায্যে হাত বাড়িয়েছেন। ইচ্ছে ছিল, অবসরকালীন ভাতা থেকে ওদের জন্য স্থায়ী কিছু করব। সামান্যই করতে পারলাম। তবে ভাল লাগছে।’’
এ দিন প্রধান শিক্ষককে বিদায় জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন অনেক পড়ুয়ার। দ্বাদশ শ্রেণির ইন্দ্রাণী ঢল, সপ্তম শ্রেণির জিসান বন্দ্যোপাধ্যায়েরা বলে, ‘‘স্যার আর স্কুলে আসবেন না, ভাবতেই পারছি না!’’ স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘স্যারের কীর্তি দেখে ভবিষ্যতে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন।’’ জেলার সহকারী স্কুল পরিদর্শক অজয় পাল জানান, এমন কাজ কর্মজীবন জুড়েই করেছেন রথীন্দ্রনাথবাবু।