Coronavirus

এলাকার যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা দুর্গাপুরে

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ১টা ১৩ মিনিটে দুর্গাপুর স্টেশনে ঢোকে হায়দরাবাদ থেকে নিউ কোচবিহারগামী বিশেষ ট্রেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:৫০
Share:

পছন্দ মতো খাবার খেতে অনেক বাসকর্মী নিজেরাই রান্না করছেন। দুর্গাপুর স্টেশন চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

ন’টি ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেন সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্গাপুরে ঢোকে। ট্রেনগুলি থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মোট প্রায় ১,৩০০ জন যাত্রী দুর্গাপুরে নামেন। প্রশাসনের তরফে তাঁদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ১টা ১৩ মিনিটে দুর্গাপুর স্টেশনে ঢোকে হায়দরাবাদ থেকে নিউ কোচবিহারগামী বিশেষ ট্রেন। ইঞ্জিন বদলের পরে রাত ২টো নাগাদ ট্রেনটি দুর্গাপুর ছেড়ে যায়। মোট ১৪০ জন যাত্রী এই ট্রেন থেকে দুর্গাপুরে নামেন। রাত ২টো ৩৮ মিনিটে দুর্গাপুর স্টেশনে ঢোকে অজমেঢ় থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী বিশেষ ট্রেন। ইঞ্জিন বদলের পরে, রাত ৩টো ২৭ নাগাদ ট্রেনটি দুর্গাপুর ছেড়ে যায়। মোট ৯১৬ জন যাত্রী এই ট্রেন থেকে দুর্গাপুরে নামেন। এ ছাড়া, মঙ্গলবার ভোর ৪টে ২৭ মিনিটে গাঁধীনগর থেকে মালদহ টাউনগামী ট্রেন দুর্গাপুরে ঢোকে। ইঞ্জিন বদলে ভোর ৫টা ১৯ মিনিট নাগাদ সেটি দুর্গাপুর থেকে ছেড়ে যায়। এই ট্রেন থেকে এক জনও যাত্রী নামেননি বলে রেল সূত্রের খবর। তবে এর আগে রাত ৩টে ১৮ মিনিটে একটি ট্রেন যায় দুর্গাপুর স্টেশনের উপর দিয়ে। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মিনিট দু’য়েক দাঁড়ায় ট্রেনটি। তা থেকে ৬৩ জন যাত্রী নামেন ট্রেন থেকে।

রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে দুর্গাপুরের উপর দিয়ে আরও একটি ট্রেন যায়। মিনিট দশেক ট্রেনটি থামে দুর্গাপুরে। ২৬৫ জন যাত্রী দুর্গাপুরে নামেন ট্রেন থেকে। সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে আসে আগরতলা থেকে রাঁচীগামী ট্রেন। ইঞ্জিন বদলের পরে, সকাল ১০টা নাগাদ ট্রেনটি ফের রওনা দেয়। মাত্র দু’জন যাত্রী নামেন। জয়পুর থেকে হাওড়াগামী ট্রেন দুর্গাপুরে ঢোকে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ। এক জন যাত্রী নামেন ট্রেন থেকে।

Advertisement

এ দিকে, স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে এই সব যাত্রীরা বাঁশের ব্যারিকেডের মধ্যে লাইন দিয়ে বাসে ওঠেন। স্থানীয় যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজের-নিজের জেলায় ফিরলে, ওই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেল কর্তৃপক্ষের তরফে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে।’’

এ দিন, স্টেশনের বাইরে দেখা যায় সারি দিয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ও বেসরকারি বড় বাস ও মিনিবাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। চালক ও কর্মীরা জানান, ট্রেন থেকে যাত্রীরা নামলে, প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement