তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলার নালিশ কাঁকসায়

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কাঁকসার দানবাবা থেকে পানাগড় বাজার পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০০:০৪
Share:

কাঁকসায় মিছিল তৃণমূলের।নিজস্ব চিত্র

দলের মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ে তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। রবিবার কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকায় দলের কর্মীদের আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে তৃণমূলের অভিযোগ। দু’জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুদবুদের সূর্যসেনপল্লি এলাকাতেও শনিবার রাতে দলের কর্মীদের উপরে বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের। যদিও দু’টি হামলার ঘটনাই অস্বীকার করেন বিজেপি নেতারা।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কাঁকসার দানবাবা থেকে পানাগড় বাজার পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে দলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়, গলসির বিধায়ক অলোক মাজি-সহ অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকেরা মিছিলে যোগ দেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বনকাটির নিমটিকুড়ি গ্রাম থেকে একটি ছোট পণ্যবাহী গাড়িতে মিছিলে যোগ দিতে আসছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী। মাঝ রাস্তায় তাঁদের আটকায় বিজেপির লোকজন। বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে তারা তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় দলের ছয় কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কার্তিক হেমব্রম ও দিলীপ কিস্কুর মাথায় চোট গুরুতর। হামলার খবর পেয়ে আশপাশ থেকে তৃণমূল কর্মীরা ঘটনাস্থল পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আহতদের পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কার্তিকবাবু ও দিলীপবাবুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কাঁকসার তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সীর অভিযোগ, ‘‘এলাকায় এলাকায় যে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে এই ঘটনা থেকে তা পরিষ্কার। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’

Advertisement

তৃণমূল নেতাদের আরও অভিযোগ, শনিবার রাতে বুদবুদের সূর্যসেনপল্লি এলাকায় তাঁদের কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয় বিজেপির লোকজন। তৃণমূল কর্মী সাজিদ আনসারি অভিযোগ করেন, বেশ কয়েকজন রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপি না করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। ভিতরে ঢুকে মহিলাদের মারধর করে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গভীর রাতে ওই বিজেপি কর্মীরা ফের এলাকায় এসে একটি টোটো ও খড়ের চালে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশপাশের বাসিন্দারা বেরিয়ে এলে তারা পালায়। রবিবার বুদবুদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান সাজিদ।

বিজেপি অবশ্য দু’টি ঘটনার কথাই অস্বীকার করেছে। গলসি বিধানসভার আহ্বায়ক রমন শর্মার পাল্টা দাবি, কাঁকসার ঘটনায় তৃণমূলের লোকজনই নিজেদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। বিজেপি কোনও ভাবে এর সঙ্গে জড়িত নয়। বুদবুদে কারও বাড়িতে হামলা বা আগুন লাগানো হয়নি বলে দাবি তাঁর। পুলিশ জানায়, দু’টি ঘটনারই তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন