নিষেধাজ্ঞা না মানার অভিযোগ, দুর্ঘটনা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে চিনাকুড়ির দিক থেকে একটি বালিবোঝাই ডাম্পার লিথুড়িয়া রোড ধরে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে আরও একটি ডাম্পার পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ আচমকা ডাম্পার দু’টির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ওই অবস্থাতেই ডাম্পার দু’টি রাস্তা লাগোয়া একাধিক বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাঝরাতে দু’টি ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটল। তার পরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত দু’টি ডাম্পারই ধাক্কা মারে বিদ্যুতের একাধিক খুঁটিতে। এর জেরে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে গেল। দু’টি ডাম্পারের চালকই জখম। মঙ্গলবার কুলটির নিয়ামতপুরের লিথুড়িয়া রোডের ঘটনা। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ওই রাস্তায় ভারী যানচলাচল বন্ধ থাকলেও তা তোয়াক্কা করা হয় না।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে চিনাকুড়ির দিক থেকে একটি বালিবোঝাই ডাম্পার লিথুড়িয়া রোড ধরে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে আরও একটি ডাম্পার পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ আচমকা ডাম্পার দু’টির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ওই অবস্থাতেই ডাম্পার দু’টি রাস্তা লাগোয়া একাধিক বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের তার। এর ফলে প্রায় দশ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্ঘটনার বিকট আওয়াজ শুনে বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। জখম দু’জন ডাম্পার চালককে উদ্ধার করে তাঁরাই হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার পুলিশ। ডাম্পার দু’টিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বাসিন্দাদের দাবি, ২০০৯ সালে প্রশাসন এই রাস্তায় ভারী যান চলাচলের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু অভিযোগ, সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফি রাতে পণ্যবাহী ডাম্পার যাতায়াত করছে। ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনাও। আরও অভিযোগ, প্রায় বছর খানেক ধরে অবৈধ বালিবোঝাই ডাম্পার ও ট্রাক দ্রুত গতিতে ছুটছে এই রাস্তা ধরে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা আসানসোল পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। আমার অনুমান, মাঝরাতে অবৈধ বালি নিয়েই ওই ডাম্পারটি দ্রুত গতিতে ছুটছিল।’’

Advertisement

যদিও এ প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’ দু’টি ডাম্পার মালিককেই পণ্য পরিবহণের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন