কর্মীদের মারধর করে ডাকাতি কারখানায়

গভীর রাতে কারখানায় ঢুকে কর্মীদের মেরেধরে লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গভীর রাতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার জাকির হুসেন অ্যাভিনিউয়ে বেসরকারি এক তামার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাছে কারখানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, তিন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মূল্যবান তামার তার নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৪
Share:

গভীর রাতে কারখানায় ঢুকে কর্মীদের মেরেধরে লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গভীর রাতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার জাকির হুসেন অ্যাভিনিউয়ে বেসরকারি এক তামার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাছে কারখানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, তিন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মূল্যবান তামার তার নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কারখানায় রাতের পালিতে তিন কর্মী কাজ করছিলেন। রাত ১টা নাগাদ জনা চারেকের একটি দুষ্কৃতী দল ছোট লরি নিয়ে কারখানা চত্বরে ঢোকে। এক জন কর্মী কাজের শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। প্রথমে দুষ্কৃতীরা তাঁর ঘরে ঢুকে রড দিয়ে মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ঘরে আটকে রেখে বাইরে বেরোতেই দুষ্কৃতীরা বাকি দুই কর্মীর সামনে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরও ধরে নিয়ে গিয়ে ওই ঘরে আটকে রাখে। এর পরে গুদামে মজুত তামার তার ছোট লরিতে তুলে চম্পট দেয়। শেখ মান্নান নামে এক কর্মী ফোন করে খবর দিলে কারখানার কর্ণধার শুভাশিস মাজি ছুটে যান। জখম কর্মীদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুভাশিসবাবু বলেন, “গত রাতের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কর্মীদের মধ্যে। পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থলে যান এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব এবং এসিপি সুব্রত দেব। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, রাতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে। বিভিন্ন গাড়ির নম্বরও লিখে রাখা হয়। ওই কারখানার আশপাশের তেমন তিনটি চেকিং পয়েন্ট থেকে ছোট লরি জাতীয় কোনও গাড়ির যাতায়াত নজরে আসেনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চোরাই সামগ্রী নিয়ে দুষ্কৃতীরা বেশি দূর যায়নি। আশপাশের কোথাও তা মজুত রয়েছে। সুবিধা মতো পরে বের করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দুষ্কৃতীদের। এডিসিপি (পূর্ব) বলেন, “ইতিমধ্যে কিছু সূত্র মিলেছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরা হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন