তৃণমূল অফিসে মারধর-হুমকি, অভিযুক্ত নেতা

পারিবারিক অশান্তির ঘটনায় পার্টি অফিসের ভিতরে নিজের আত্মীয় এক দম্পতি ও তাঁদের ছেলেমেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের বীরভানপুরের ওই তৃণমূল নেতা তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ দম্পতির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪
Share:

রঞ্জিত রুইদাস।—নিজস্ব চিত্র।

পারিবারিক অশান্তির ঘটনায় পার্টি অফিসের ভিতরে নিজের আত্মীয় এক দম্পতি ও তাঁদের ছেলেমেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের বীরভানপুরের ওই তৃণমূল নেতা তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ দম্পতির।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় দাসপাড়ায়। কোকওভেন থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি দম্পতির। বুধবার সন্ধ্যায় কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদবের দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন মহিলা। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগকারিণীর শ্বশুর অসুস্থ হওয়ায় পাড়ার তৃণমূল নেতা রঞ্জিত রুইদাস তাঁকে ডিপিএল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, “আমাকে বা আমার স্বামীকে বিষয়টি জানানো হয়নি। বিশেষ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে উনি এই কাজ করেছেন।” অভিযোগে তিনি জানান, সেই রাতে রঞ্জিতবাবু পার্টি অফিসে ছিলেন। তিনি, তাঁর স্বামী, ছেলে ও মেয়ে তাঁর কাছে কৈফিয়ত্‌ চাইতে যান। মহিলার অভিযোগ, “আমাদের না জানিয়ে কেন একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি আমার শ্বশুরকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন, তা জানতে যাই। আমরা অন্য কোনও ভাল হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু, রঞ্জিতবাবু ও তাঁর কয়েক জন অনুগামী আমাদের মারধর শুরু করেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, “ওরা আমার স্বামী ও ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, মেয়েকে ধর্ষণ করানোর হুমকিও দেওয়া হয়।” তাঁর দাবি, তাঁরা তিন জন পালিয়ে এলেও তাঁর স্বামীকে আটকে রাখা হয়। মহিলা বলেন, “কোকওভেন থানা থেকে পুলিশ গিয়ে আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনে। অথচ, থানা আমাদের অভিযোগ নেয়নি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

Advertisement

অভিযুক্ত রঞ্জিতবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “যাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি, তিনি আমারও আত্মীয়। হঠাত্‌ অসুস্থ হয়ে পড়ায় দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে পাঠাই। অথচ, ওঁরা চার জন সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে এসে আমাদের উপরে চড়াও হন। তখন আমাদের ছেলেরা তাঁদের ঠেলে বের করে দেয়। তার বেশি কিছু হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তাঁর আরও দাবি, পরিস্থিতি যাতে জটিল না হয় সে জন্য তিনিই পুলিশ ডাকেন। অথচ, তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হয়েছে।

কোকওভেন থানার পুলিশের দাবি, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়েছিল। তদন্তে তেমন কিছু মেলেনি। তৃণমূলের ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি ঘটনার কথা জানি না। পুলিশি তদন্তেই সব পরিষ্কার হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন