তৃণমূলের বেআইনি অফিসঘর ভাঙার নোটিস এডিডিএ-র

বিধাননগরে নির্মীয়মাণ তৃণমূল অফিস ‘অবৈধ’ হিসেবে ঘোষণা করল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। শুক্রবার এডিডিএ-র তরফে ওই নির্মাণের উপরে নোটিস সাঁটিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, তা ভেঙে ফেলা হবে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিলবাবু বলেন, “অবৈধ ভাবে নির্মাণকাজ চলছিল। নোটিস দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:২৭
Share:

সেই নোটিস। —নিজস্ব চিত্র।

বিধাননগরে নির্মীয়মাণ তৃণমূল অফিস ‘অবৈধ’ হিসেবে ঘোষণা করল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। শুক্রবার এডিডিএ-র তরফে ওই নির্মাণের উপরে নোটিস সাঁটিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, তা ভেঙে ফেলা হবে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিলবাবু বলেন, “অবৈধ ভাবে নির্মাণকাজ চলছিল। নোটিস দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

সম্প্রতি বিধাননগরের বেথুন সরণির ধারে সরকারি জায়গা জবরদখল করে তৃণমূলের একটি অফিস নির্মাণ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার সিপিএমের তরফে এডিডিএ-র চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (পানীয় জল সরবরাহ) প্রমোদ সরকারের উদ্যোগে এই নির্মাণকাজ চলছে বলে অভিযোগ জানায় সিপিএম। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিলবাবু জানান, শুক্রবার পর্ষদের অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্রটি হাতে পাওয়ার পরেই তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এডিডিএ-র আধিকারিকেরা এ দিন এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখেন। এর পরেই একটি নোটিস নির্মীয়মাণ অফিসের দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। তাতে লেখা রয়েছে, এই নির্মাণ অবৈধ। আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়াই নির্মাণটি ভেঙে দেওয়া হবে। প্রমোদবাবু অবশ্য দাবি করেন, এলাকার মানুষের পরিষেবার স্বার্থে একটি পরিত্যক্ত দোকানঘরের জায়গায় কাউন্সিলরের কার্যালয় তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “সপ্তাহে পাঁচ দিন দু’ঘণ্টার জন্য ওই কার্যালয়ে বসব বলে ভেবেছি। এডিডিএ যদি আপত্তি জানায় তাহলে হবে না।”

Advertisement

সিপিএমের জেমুয়া-বিধাননগর লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের বক্তব্য, “পরিষেবা দেওয়ার যুক্তি দেখিয়ে সরকারি জায়গায় অবৈধ নির্মাণ মেনে নেওয়া যায় না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন