বন্ধুকে খুন করে দেহ ভাগীরথীতে, পূর্বস্থলীতে ধৃত ২

বন্ধুকে খুন করে দেহ বস্তায় ভরে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল দুই যুবক। অপহরণের মিথ্যে গল্পও সাজিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ার পরে পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে নিল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মাজিদা এলাকার আল আমিন শেখ ও জডা শেখ নামের ওই দু’জন। পুলিশেরও অনুমান, ব্যবসার টাকার ভাগ নিয়ে গণ্ডগোল থেকেই এই ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৪ ০১:১৯
Share:

বন্ধুকে খুন করে দেহ বস্তায় ভরে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল দুই যুবক। অপহরণের মিথ্যে গল্পও সাজিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ার পরে পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে নিল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মাজিদা এলাকার আল আমিন শেখ ও জডা শেখ নামের ওই দু’জন। পুলিশেরও অনুমান, ব্যবসার টাকার ভাগ নিয়ে গণ্ডগোল থেকেই এই ঘটনা।

Advertisement

মৃত খাব্বার আলি শেখের (২৫) পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ অক্টোবর একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার নাম করে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল খাব্বার। গভীর রাতে তাঁর বন্ধু আল আমিন ও জডা খাব্বারের বাড়িতে এসে জানায়, ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী গাড়িতে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়েছে খাব্বারকে। তাদের কথা শুনে ভোর হতেই খাব্বারের বাবা রমজান শেখ পূর্বস্থলী থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে বড়েয়া এলাকার বর্গিবাগান থেকে খব্বারের মোটরবাইক এবং একটি রক্তমাখা জামা উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার তামাঘাটায় ভাগীরথীর ঘাটে একটি বস্তা ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি তুলে খাব্বারের দেহ পায় পুলিশ। তাঁর পরিবারের লোকজনেরা ছেলের দেহ শনাক্তও করেন। এরপরেই আল আমিন ও জডাকে দফায় দফায় ডেকে জেরা করতে শুরু করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করে তারা। ধৃত দু’জন জানায়, খাব্বারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে তার দেহ ভাগীরতীতে ফেলে দেয় তারা। পরে ঘটনাটি অপহরণ বলে প্রমাণ করার জন্য রাস্তায় তার মোটরবাইকটিও ফেলে রাখে। পুলিশের দাবি, ব্যবসার টাকার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়েই খাব্বারের সঙ্গে তার দুই বন্ধু মনোমালিন্য হয়। তার জেরেই এই খুন। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক মঙ্গলবার বলেন, “ধৃত দু’জনকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে কোনও ব্যবসা নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি হয়েছিল কি না। খুনের রাতে আর কে ছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে।” এ দিন ধৃতদের কালনা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন