স্কুলছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণে ধৃত কর্মী, বিক্ষোভ

বেসরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলেরই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিত্তরঞ্জনে অশান্তি তৈরি হয়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে চিত্তরঞ্জন থানায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০০:২৫
Share:

পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অভিযুক্তকে। নিজস্ব চিত্র।

বেসরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলেরই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিত্তরঞ্জনে অশান্তি তৈরি হয়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে চিত্তরঞ্জন থানায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, চিত্তরঞ্জনের সীমজুরি এলাকায় রয়েছে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম প্রাথমিক স্কুলটি। অভিযোগ, ওই স্কুলেরই প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সমীর বাউরি।

ওই ছাত্রীর মা চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, গত ২৬ জুন তাঁর মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। বেলুন দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই অভিযুক্ত তাঁর মেয়েকে স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে অশালীন আচরণ করে। সে দিন বাড়ি ফিরে মেয়েটি অবশ্য কিছু জানায়নি। কিন্তু সে পরের দিন কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইছিল না। অনেক জিজ্ঞাসার পরে সে বাড়ির লোকজনকে ঘটনার কথা জানায়।

Advertisement

তার পরেই অভিভাবকেরা স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে মেয়েটির বাড়ির লোকজনের অভিযোগ।

মঙ্গলবার সকালে এক দল অভিভাবক প্রথমে স্কুলে যান। তাঁরা ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীটিকে পাকড়াও করেন। কয়েক জন তাকে মারধরও করেন। এর পরে তাকে চিত্তরঞ্জন থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বেশ কিছু অভিভাবক চিত্তরঞ্জন থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ থামান অভিভাবকেরা।

অভিভাবকেরা আরও দাবি করেছেন, ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে আগেও এই ধরনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এর পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন তাকে চাকরিতে বহাল রেখেছেন, সেটাই আশ্চর্যের বলে দাবি করেন তাঁরা। গোটা ঘটনা নিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ রঞ্জনা কাশ্যপ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন