গ্রামে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সংস্থার কর্তাদের গ্রেফতারের দাবিতে কালনা থানায় লিখিত আবেদন জানাল একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মীরা।
পুলিশ ও অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে এমবিপি নামে ওই অর্থলগ্নি সংস্থাটি প্রথমে কলকাতায় তাদের অফিস খোলে। তারপরে পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তেই সংস্থাটি ব্যবসা শুরু করে। ওই লগ্নি সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণে তৈরি হয় আরও ছ’টি সংস্থা। প্রথম দিকে ব্যবসা ভাল হলেও ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে গ্রাহকদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। কর্মীদের অভিযোগ, সংস্থার তিন কর্ণধার অমিয় মিত্র, মোনালিসা মিত্র ও শশীকান্ত দাসের কাছে বার বার আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। তারা প্রতিবারই নতুন নতুন দিন বলে টাকা ফেরতের আশ্বাস দেন। কিন্তু টাকা ফেরত মেলেনি । টাকা না পেয়ে গ্রাহকদের একাংশ এজেন্টদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এরমধ্যেই গত ১৩ জুন ওই সংস্থার কালনা শাখার টিম লিডার তথা সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর অসিতকুমার দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কর্মীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অসিতবাবুই গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ব্যাপারে কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন। বর্তমানে আমানতকারীদের হুমকিতে বেশিরভাগ গ্রাহকই ঘরছাড়া বলে এ দিন দাবি করেছেন কর্মীরা।
ওই অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট দেবাশিস সিংহ রায়ের অভিযোগ, “অনেক এজেন্টই নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে বহু আমানতকারীর টাকা মিটিয়েছে। কিন্তু তার পরেও বহু আমানতকারীর টাকা বাকি রয়েছে। সেই টাকা শোধ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন চাপ এলেও কর্তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা ভয়ের মধ্যে রয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।” কালনা থানার এক আধিকারিক বলেন, “এজেন্টরা সংস্থার তিন কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের কোনও ঠিকানা উল্লেখ করেননি। অভিযুক্তের ঠিকানা সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।