অবৈধ খনির নিচে কয়লা কাটতে গিয়ে আটকে যাওয়া ছয় যুবককে কাল্লা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল রবিবার। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিহারপুরে নিজেদের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ বর্ধমানের জামুড়িয়ায় পরিহারপুর এলাকায় কুয়ো খাদানে কয়লা কাটতে নেমেছিলেন ছয় যুবক। সকাল ১১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে ডোজার দিয়ে তা ভরাট করে দেয়। ৬০ ফুট নীচে খনির সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন শেখ ফুরহান, শেখ হাব্বুল, শেখ সাবের আলি, শেখ তাজবুল, শেখ নবি হোসেন ও শেখ রবিউল নামে ছ’জন। রাতে তাঁরা বাড়ি না ফেরায় গ্রামবাসীরা প্রমাদ গোনেন। মাটি কাটার যন্ত্র এনে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। বাইশ ঘণ্টার চেষ্টায়, শনিবার বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ এক-এক করে বের করা হয় ছ’জনকে। তারপরে তাদের চিকিৎসার জন্য কাল্লা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে শেখ তাজবুল বলেন, “আমরা উপর থেকে মাটি ফেলার আওয়াজ পেয়ে খনির নীচের দেওয়াল ধরে ধরে কাটা সুড়ঙ্গে লুকিয়ে পড়েছিলাম। রাত বারোটা নাগাদ একটি সরু গর্ত দিয়ে উপরের মানুষের আওয়াজ শুনে বাঁচবার আশা ফিরে পাই। উপরে মাটি কেটে আমাদের উদ্ধার করার ব্যবস্থা হচ্ছে জানতে পেরে আমরা ভিতরের মাটি সরানোর কাজ করতে থাকি। দেড় দিন পরে উপরে ওঠার পরে ধকলে বির্পযস্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
কয়লা চুরির অভিযোগে ওই ছ’জনকে গ্রেফতার করা হবে কি না জানতে চাইলে এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”