ফাইল চিত্র।
তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছিলই। তার জেরেই বুধবার ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম পদ থেকে বরখাস্ত করা হল নূর-উর রহমান বরকতিকে। বুধবার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। টিপু সুলতান মসজিদ পরিচালনা করে প্রিন্স গোলাম মহম্মদ ওয়াকফ এস্টেট। এস্টেটের তরফে আরিফ আহমেদ বলেন, ‘‘দিনের পর দিন টিপু সুলতান মসজিদকে ঢাল করে বিভিন্ন অপকর্মমূলক কাজ করে চলেছেন বরকতি। এর দায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিতে পারেন না।’’ বরকতির সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে শোকজ করেছিলেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, বরকতি তার জবাব দেননি। উল্টে লোক লাগিয়ে এস্টেটের সদস্যদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ।
তাঁকে বরখাস্ত ঘোষণা করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বরকতির চ্যালেঞ্জ, ‘‘আমি টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম ছিলাম, আছি, থাকব।’’ বরকতি পদ না ছাড়লে কী হবে? এস্টেটের মোতায়াল্লি আনোয়ার আলি শাহের জবাব, ‘‘আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এ দিন তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরও ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে বরকতিকে। বরকতির আরও অভিযোগ, ‘‘আমাকে ইমামের পদ থেকে সরানোর মূল ষড়যন্ত্রী তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ। সারা কলকাতায় সুলতান বিভিন্ন ওয়াকফ সম্পত্তি বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছেন। এখন টিপু সুলতান মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তিও দখলে রাখতে চাইছেন।’’ বরকতির অভিযোগ প্রসঙ্গে সুলতান বলেন, ‘‘উনি মিথ্যে কথা বলছেন। ওঁর নিজেকে সংশোধন করা জরুরি।’’