কথায় কথায় নার্সিংহোমে ভাঙচুর চলছে। কখনও বিল না-মিটিয়ে রোগীকে নিয়ে সটান বাড়ি চলে যাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। কখনও আবার তুচ্ছ কারণে ডাক্তারদের উপরে চড়াও হচ্ছেন তাঁরা।
এই ধরনের লাগাতার হেনস্থা বন্ধের দাবিতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে গিয়েছিলেন বেঙ্গল নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। সংগঠনের প্রতিনিধিরা পরে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে আগামী সপ্তাহে সাক্ষাতের সময় ধার্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের সম্পাদক শেখ আল্লাসউদ্দিন জানান, সম্প্রতি পাশ হওয়া স্বাস্থ্য বিলের কিছু অংশ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘অন্যায় হলে রোগীর পরিবারের যেমন অভিযোগ জানানোর জায়গা থাকবে, একই ভাবে নার্সিংহোমের কর্মীদের হেনস্থা করলে বা যন্ত্রপাতি ভাঙলে যেন অপরাধীদের সাজা হয়। এই দাবিই জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিল পাশের পরে কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার বড় বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের তরফে বারবার রোগীর পরিবারের হাতে হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে, হচ্ছে। বিল না-মেটানো বা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার অভিযোগ যেমন আছে, রয়েছে চিকিৎসককে মারধর, হাসপাতালের দামি যন্ত্রপাতি ভাঙার অভিযোগও। হামলা ও হেনস্থার জেরে বেশ কিছু নার্সিংহোম বন্ধও করে দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ ওই সংগঠনের।
অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি এম পি মেটা বলেন, ‘‘ওঁরা কেন দরবার করতে গিয়েছেন, ঠিক জানি না। তবে আইন সকলের জন্য সমান হবে, এটাই আশা করি। রোগী নিশ্চয়ই সুবিচার পাবেন। একই ভাবে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অন্যায় হলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’’