—ফাইল চিত্র।
বদলি নিয়ে অনিয়ম-সহ নানান অভিযোগ উঠছিল। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকারা এ বার নিজের নিজের জেলাতেই পড়ানোর সুযোগ পাবেন।
টুইট-বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমরা ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের নিয়ে গর্বিত। সমাজ, দেশ গড়তে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্ব দিতে ছাত্রছাত্রীদের তৈরি করতে অভিভাবকের মতো কাজ করেন শিক্ষকেরা।’ মুখ্যমন্ত্রী টুইট-বার্তায় আরও লিখেছেন, ‘সরস্বতী পুজোর আগে সব শিক্ষককে সম্মান জানাচ্ছি। সব শিক্ষককে নিজের জেলায় পোস্টিং দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা নিজেদের পরিবারকে দেখভাল করতে পারবেন। শান্ত মনে, পূর্ণ একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। যা দেশ গঠনের সহায়ক হবে।’
শিক্ষক শিবিরের একাংশ জানান, ‘মিউচুয়াল ট্রান্সফার’ বা আপস-বদলি এবং সাধারণ বদলির সুবিধা রয়েছে। নিজের জেলায় শিক্ষকদের নিয়োগের পরিকল্পনা বছর দুয়েক আগে করা হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘বিষয়টি এক বার কার্যকর হওয়ার পরে দীর্ঘদিন বন্ধ আছে। আবেদনের ভিত্তিতে পছন্দের স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বদলি করা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় নতুন কিছু নেই। যে-নিয়মটি চালু আছে, দুর্নীতিমুক্ত ভাবে সেটা নিয়মিত কার্যকর করা হোক। তা হলেই হবে।’’
আরও পড়ুন: দু’দিনে ৫ ফাঁসির নির্দেশ ৩ জেলায়
অনেক শিক্ষকের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষিকাদের বাড়ির কাছে বদলির প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যত বাস্তবায়িত হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারের অভিযোগ, ‘‘২০১৪ সালে এক বার কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার জেনারেল ট্রান্সফার হয়েছিল। তার পর থেকে তা বন্ধ। মিউচুয়াল ট্রান্সফারের শুনানির পরে দু’মাস কেটে গেলেও নানান জটিলতায় পছন্দমতো স্কুলে যোগ দিতে পারছেন না শিক্ষকেরা। অন্য দিকে, স্পেশাল গ্রাউন্ড ট্রান্সফারের নামে চলছে চরম দুর্নীতি।’’
এ দিন দমদমের একটি সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের উদ্বোধনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে আরও ভাল ভাবে শিক্ষা দিতে পারেন, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চেষ্টা চলছে, যাতে শিক্ষকদের নিজের জেলায় বদলি করা যায়।’’ তিনি জানান, নিজেদের জেলায় এ ভাবে বদলির কথা আগে কখনও ঘোষণা করা হয়নি। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী কী ভাবে তা কার্যকর হবে, তা নিয়ে শিক্ষক শিবিরে আলোচনা চলছে।