চিনে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে সুদীপ্ত ভৌিমক। —নিজস্ব চিত্র।
চিনা নববর্ষের ছুটিতে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে চিনের চেঙ দু শহরে বাবার কাছে গিয়েও মনখারাপ বছর চারেকের সমৃদ্ধির। বাবাকে অনেক দিন পর কাছে পেয়ে আনন্দ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বাবার হাত ধরে একটু বেড়াবে, খেলবে, ঘুরবে সেই উপায় নেই। কার্ফু জারি হলে শহরের অবস্থা যেমন হয় অনেকটা সেই রকম দশা চিনের সিচুয়ান প্রদেশের এই শহরটার। করোনাভাইরাস ঘিরে আতঙ্কের জেরে।
গত অগস্টে চিনের একটি বায়ো-ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থায় পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চার হিসেবে যোগ দিয়েছেন সুদীপ্ত ভৌমিক। মঙ্গলবার টেলিফোনে তিনি বললেন, ‘‘যেখানে করোনাভাইরাস হানার মূল ঘটনা ঘটেছে সেই উহান থেকে চেঙ দু প্রায় ৯৮৭ কিলোমিটার দূরে। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শহরের সব রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোও প্রায় বন্ধ।’’ শহরবাসীর চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাই সপ্তাহখানেক হয়ে গেল উনিশতলার ফ্ল্যাটে কার্যত ঘরবন্দি সুদীপ্ত, তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু ও মেয়ে সমৃদ্ধি। মুখে সর্বক্ষণ বেঁধে রাখতে হচ্ছে মাস্ক। তবে রোগ প্রতিরোধে চিন সরকারের কাজের প্রশংসা করে সুদীপ্ত বলেন, ‘‘সরকার যে ভাবে কাজ করছে তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। অল্প কিছু দিনেই ভাইরাস ঘায়েল হবে। এখনই চিন ছাড়ার কথা ভাবছি না।’’
আরও পড়ুন: উপাচার্যের ভিডিয়ো তুলে বহিষ্কৃত বিশ্বভারতীর ছাত্র