অলীক চক্রবর্তী।- নিজস্ব চিত্র।
অন্য মামলাগুলি থেকে আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার শেষ অর্থাৎ বাবুসোনা খুনের মামলাতেও জামিন পেলেন ভাঙড় জমি আন্দোলন কমিটির নেতা অলীক চক্রবর্তী। এ নিয়ে ৪৫ দিনে মোট ৩৪টি মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন সিপিআই-এমএল (রেড স্টার)-এর ওই নেতা। জেল থেকে অলীকের ছাড়া পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভাঙড়ে গ্রামবাসীরা বিজয়োৎসবে মেতে ওঠেন।
এ দিন বারুইপুর আদালতে বাবুসোনা খুনের মামলার শুনানি ছিল। সরকার পক্ষ এবং অভিযুক্তের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক অলীক চক্রবর্তীর জামিন মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও মামলাতেই আমার মক্কেলের যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তাই ৩৪টি মামলাতে এত অল্প সময়ের মধ্যে জামিন পেয়ে গেলেন। অন্য দিকে, আরাবুল ইসলাম একটি মামলাতে এখনও জেলে রয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে কে দোষী!”
গত মে মাসে নিজের ভোল বদলে চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন জমি আন্দোলনের ওই নেতা। উঠেছিলেন চন্দ্রশেখরপুর এলাকায় মৈত্রী বিহার কলোনিতে। কলিঙ্গ হাসপাতালে কোলনোস্কোপি করানোর কথা ছিল তাঁর। মৈত্রী বিহারের ডেরা থেকে বেরোনোর পরই পুলিশ অলীকের পিছু নেয়। হাসপাতালের সামনে আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অলীকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারাও যুক্ত হয়।
আরও পড়ুন: ডেকরেটারের গাফিলতিতেই বিপত্তি প্রধানমন্ত্রীর সভায়, জানাল রাজ্য ফরেন্সিক দফতর
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দফতর ‘কড়া কথা’ শুনিয়েছে? বাবুল-দিলীপ প্রকাশ্য বচসা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনে প্রথম থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন অলীক এবং শর্মিষ্ঠ চক্রবর্তী। দু’বছর ধরে ভাঙড়ের মাছিভাঙা–খামার আইটে গ্রামে ডেরা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার খোঁজ পায়নি। অবশেষে ভুবনেশ্বরে সাফল্য আসে। বাবুসোনা খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ছিল আরাবুল বাহিনীই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।